শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভাঙ্গুড়ায় ধান পরিস্কারের সময় ফ্যানে লুঙ্গি পেঁচিয়ে কৃষকের মৃত্যু আচরণ বিধি লঙ্ঘন, চেয়ারম্যান প্রার্থি রানা সরদারকে শোকজ হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সেলাই ও জমি চাষে কঠিন স্বপ্নের বাস্তবায়ন, একজন স্বপ্নজয়ী মা’র পামেকে হল ত্যাগে বাধ্য করতে ছাত্রলীগের হামলা, বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেঁড়ার অভিযোগ পাবনা গণপূর্ত বিভাগে প্রকৌশলীদের হত্যার হুমকি, ২ ঠিকাদার গ্রেফতার ৫ ঘন্টা পর বগি উদ্ধার, তদন্ত কমিটি গঠন, চলাচল স্বাভাবিক ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে মিললো গ্রেনেড পাবনার তিন উপজেলা নির্বাচনে খোকন, বাবু ও ওহাব নির্বাচিত উপজেলা নির্বাচনে পাশে থাকার অনুরোধ প্রার্থী মোশাররফ হোসেন’র

পাবিপ্রবিতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার যথাযথ মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শোক র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালী শেষে প্রশাসনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন এবং রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাধীনতা চত্বরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

আরও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, হল প্রশাসন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, “জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আমাদের অন্তর থেকে স্মরণ করতে হবে। এই সূর্য সন্তানদের আলোয় আমাদের আলোকিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তারা জাতির জন্য দূরবর্তী চিন্তা করতে পেরেছিলেন এবং বুদ্ধি দিয়ে এদেশের মানুষের মনোবলকে দৃঢ় করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। তাঁকে অন্তরে ধারণ করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বদ্ধভূমিতে স্বচক্ষে দেখা, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বীভৎস দৃশ্যের অবতারণা করেন এবং ১৪ ডিসেম্বরকে জেনোসাইড দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবী করেন।”

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, “একটি জাতির বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। দেশকে মনে ধারণ ও লালন করতে হবে। আমাদের সন্তানদের মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয়ে অবগত করতে হবে। একসাথে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে।”

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, “আজকের দিনটি বাঙালির জন্য কলঙ্কময় ও বিভীষিকাময় দিন। পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই এই হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল। বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধার মাধ্যমে জাতিকে উজ্জীবিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালের প্রায় পুরো সময়টাই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। পরাজিত শক্তি দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। ষড়যন্ত্রকে উৎখাত করে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. নাজমুল হোসেনাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফারুক হোসেন চৌধুরী।

মোনাজাতের মাধ্যমে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়। বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..