শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছে পাবনার জনজীবন, প্রচন্ড ঠান্ডা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বাইরে বের হচ্ছে কম লোকজন। শ্রমজীবী মানুষগুলো সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছেন, অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সবনি¤œ তাপমাত্রা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকেই সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। শীতবস্ত্রের অভাবে কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। অনেকেই পেটের তাগিদে কাজে বের হয়েছেন দিনমজুরসহ রিকশা-ভ্যানচালকেরা।
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা, ফলে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীদের চাপ বলে জানিয়েছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, সাধ্যমতো রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০ পর্যন্ত পাবনার বিভিন্ন এলাকায় সূর্যেও দেখা মেলেনি। পথচারী, রিকশাচালক ও দুস্থদের খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। এদিকে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় পাবনা জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা ও জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী স্বাক্ষরিত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান বলেন, ১০ ডিগ্রির নিচে আবহাওয়া হওয়ার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পাবনার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।