বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সাংবাদিকের পা ভেঙে দেয়ার ১২ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ জেলা ছাত্রলীগ সেক্রেটারির বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাবনায় বিদ্যুতায়িত হয়ে ইসলামি মাদরাসার শিক্ষকের মৃত্যু ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়েদের ব্ল্যাকমেইলিং করার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ কাশিনাথপুরে ব্যাংক লোপাট, নতুন দুই কর্মকর্তার যোগদান, লেনদেন স্বাভাবিক জাতীয় শিশু দিবসে জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ চাটমোহরে করিমন চাপায় স্কুলছাত্রী নিহত, সড়ক অবরোধ ঈশ্বরদী জমজম হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ধর্ষণের পর আত্মগোপনে থাকা যুবক ঢাকা থেকে গ্রেফতার

পাবনা-১ আসনে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা, হামলা, মামলা পাল্টা মামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাবনা-১ (সাঁথিয়া- বেড়া আংশিক) আসনের নির্বাচনী পরিস্থিতি। আওয়ামীলীগ প্রার্থী জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর নির্দেশে শুক্রবার প্রচারণায় হামলার অভিযোগ করেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। এ ঘটনা নৌকার কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। আবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া আওয়ামীলীগ অফিসে ভাংচুর ও বোমা হামলার অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন নৌকার সমর্থকরা।

রবিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নির্বাচনী এজেন্টদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ করে, প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পাবনা-১ আসনে ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল বাতেন, নির্বাচনী এজেন্ট সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, মিরাজুল ইসলাম, মতিউর রহমান দুলাল, মোস্তাফিজুর রহমানসহ সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

সাঁথিয়া থানা সূত্র জানায়, পাবনা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক মার্কার নির্বাচনী প্রচরণায় শুরু থেকেই তিনি বাধা ও হামলার শিকার হচ্ছেন। সাঁথিয়া উপজেলায় গত ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ট্রাক মার্কার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার মিছিল সাঁথিয়া বাইপাস রোড দিয়ে যাওয়ার সময় নৌকার সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বাদী হয়ে সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুসহ ১৪ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

একই দিন, সন্ধ্যায় সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রাক মার্কার সমর্থকদের দায়ী করে সোহেল রানা খোকন বাদী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্টসহ ৩৯ জনকে আসামী করে বিস্ফোরকসহ কয়েকটি ধারায় মামলা করেন। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থক প্রভাষক আবু সাইয়িদ ট্রাক মার্কার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মারপিটের আরো একটি মামলা করনে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অভিযোগ করেন, শুক্রবার আমার ট্রাক মার্কার প্রচার মিছিলে নৌকা সমর্থক চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা করে। সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলালসহ ৮ জন আহত হয়। সাঁথিয়া আওয়ামীলীগ কার্যালয়টি থানার ঠিক সামনে। আমাদের মিছিল আওয়ামীলীগ কার্যালয় পার হবার সময় পুলিশ উপস্থিত ছিলো। তাদের কাছে ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ আছে। আমাদের মিছিলে হামলার পর নৌকা সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ের লাইট নিভিয়ে নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছে। এখানে আব্দুল বাতেনের মতো একজন বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা ককটেল নিক্ষেপ করেছেন বলেও হাস্যকর অভিযোগ আনা হয়েছে।

আবু সাইয়িদ বলেন, নির্বাচনী মাঠ থেকে আমাকে সরাতে আমার প্রধান এজেন্টসহ সকল এজেন্টের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমি এই মামলা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ আচরণ না করে কাউকে অযথা হয়রানি করে, তাহলে যেকোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য তারাই দায়ী থাকবেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট আব্দুল বাতেন বলেন, আমরা ভোটারদের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাইছি। কিন্তু নৌকার প্রার্থী ও তার অনুগত সন্ত্রাসীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা জানতে চাই সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি কারা অবমাননা করলো। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করুক। সবাই জানতে পারবে।

এদিকে, নৌকার প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আমাদের যেখানে প্রোগ্রাম সেখানে উষ্কানী দিতে উপস্থিত হচ্ছেন। তার নির্দেশে আওয়ামীলীগ অফিসে ভাংচুর ও আমার কর্মীদের মারপিট করা হলেও, পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার না করা হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, পক্ষপাতের অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা উভয়পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা রিটানিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, পাবনা ১ আসনে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে। কাউকে অযথা হয়রানির সুযোগ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..