শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
চরাঞ্চলে আলো ছড়াচ্ছে তাসকিনা সিনথী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভাঙ্গুড়ায় ধান পরিস্কারের সময় ফ্যানে লুঙ্গি পেঁচিয়ে কৃষকের মৃত্যু আচরণ বিধি লঙ্ঘন, চেয়ারম্যান প্রার্থি রানা সরদারকে শোকজ হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সেলাই ও জমি চাষে কঠিন স্বপ্নের বাস্তবায়ন, একজন স্বপ্নজয়ী মা’র পামেকে হল ত্যাগে বাধ্য করতে ছাত্রলীগের হামলা, বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেঁড়ার অভিযোগ পাবনা গণপূর্ত বিভাগে প্রকৌশলীদের হত্যার হুমকি, ২ ঠিকাদার গ্রেফতার ৫ ঘন্টা পর বগি উদ্ধার, তদন্ত কমিটি গঠন, চলাচল স্বাভাবিক ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে মিললো গ্রেনেড পাবনার তিন উপজেলা নির্বাচনে খোকন, বাবু ও ওহাব নির্বাচিত

প্রচারণায় বাধা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৪

প্রচারণায় বাধা ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্টসহ নির্বাচন পরিচালনায় নেতৃত্ব দানকারীদের বিরুদ্ধে দেয়া বিস্ফোরক আইনে মামলা প্রত্যাহার দাবিতে বেড়া থানার সামনে প্রতীকী ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন পাবনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও তার সমর্থকরা। বুধবার দুপরে বেড়া শহীদ আব্দুল খালেক স্টেডিয়াম থেকে মিছিল নিয়ে এসে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আবু সাইয়িদের ট্রাক মার্কার সমর্থকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে নির্বাচনী প্রচারণায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বেড়া পৌর এলাকার ট্রাক মার্কার মিছিলের জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খন্ড মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল বাতেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুর রহমান মাসুদসহ নেতাকর্মীরা এ সময় জানান কয়েকটি এলাকা থেকে ট্রাক মার্কার সমর্থকদের মিছিলে আসতে নৌকা সমর্থকরা বাধা দিয়েছে ও হামলা চালিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নেতৃবৃন্দ কর্মসূচি পরিবর্তন করে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। এ সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোরশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক বেড়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেন, ট্রাক মার্কার পক্ষে স্থানীয় মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়েছে। এতে ভীত হয়ে মোহনগঞ্জ ও পায়না এলাকায় নৌকা সমর্থক আলী, মহরম, নায়েব আলীর নেতৃত্বে মিছিলে বাধা দিয়ে নেতাকর্মীদের ধাওয়া করা হয়। এতে আমাদের সমর্থকরা মিছিলে আসতে পারেনি। একই ভাবে, বেড়া বাজার এলাকায় নৌকা সমর্থক সন্ত্রাসীরা নেতাকর্মীদের মিছিলে বাধা দিয়েছে। আমরা মিছিলের বিষয়ে আগেই পুলিশকে জানিয়েছি, কিন্তু তারপরেও হামলার শিকার হতে হয়েছে। তাই আমরা থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানিয়েছি। পুলিশের বক্তব্যে আশস্ত হয়ে আমরা অবস্থান ত্যাগ করেছি, কিন্তু সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

পাবনা-১ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ জানান, বেড়া সাঁথিয়ায় ট্রাক মার্কার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জনসমর্থন না পেয়ে নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকু ও তার ছেলে বেড়া পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জনের নির্দেশে আমাদের প্রতিটি কর্মসূচিতে হামলা করা হচ্ছে। নিজেরাই আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে আলামত ছাড়াই আমার প্রধান এজেন্ট আব্দুল বাতেনসহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে। আমি আমার কর্মীদের নিরপত্তা চাই, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই। নয়তো, জনগণ সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে যা করার তাই করবে।
এদিকে, আবু সাইয়িদের সমর্থকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নৌকা সমর্থকরা বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাইয়িদ সমর্থকদের গ্রেফতার দাবি করে।

এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও বেড়া পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন বলেন, সাঁথিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্দেশে তার নেতাকর্মীরা আমাদের সাঁথিয়া কার্যালয় ভাঙচুর করেছে, আমার নেতাকর্মীকে অমানবিক ভাবে পিটিয়েছে। মামলা দায়েরের পর আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। বরং আমাদের হয়রানি করছে। কোথাও কোন কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়নি। তারা প্রশাসনে চাপ সৃষ্টি করতে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়েই চলেছে। আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

এদিকে, নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নিরপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তবে, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির সুযোগ নেই দাবি করে বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনস্ত। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রতিটি অভিযোগ আমরা কমিশনে পাঠিয়েছি। এগুলো উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা অভিযোগ তদন্ত করে নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। নির্বাচনে আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..