নওগাঁয় বিনা নোটিশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রোল পাম্প মালিকদের অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহণ ধর্মঘট দিয়েছিল । এদিকে ধর্মঘটের কারণে চরম বিপাকে পড়েছিল গ্রাহকরা। বেলা আড়াইটা থেকে পুনরায় খুলে দেওয়য়া গ্রাহকেরা পাম্প থেকে তেল নেওয়া শুরু করেছেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে পাবনা জেলার সকল পেট্রোল পাম্পও বন্ধ ছিল।
সংগঠনটির পাবনা জেলার সভাপতি ইনসাফ আলী জানান, বুধবার নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রদান না করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রোল পাম্প মালিকগণ চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
বুধবার সকালে পাবনার জেলার বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প ঘুরে দেখা যায়, পেট্রোল পাম্প মালিকদের ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন পাবনার গ্রাহকরা। গ্রাহকরা পাম্পে গেলেও তেল না পেয়ে ফিওে যাচ্ছেন। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা।
তবে ২টা ৩০ মিনিটে পুনরায় পেট্রোল পাম্প খুলে দিলে পূর্বের মত গ্রাহকরা তেল নিচ্ছে পাম্প থেকে, এতে গ্রাহকদের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জেলা শহরের অনন্ত এলাকায় অবস্থিত মেসার্স হাইওয়ে পেট্রোল সার্ভিস পাম্পে তেল নিতে এসে ইকবাল হোসেন নামের একজন বলেন, সামান্য ঘটনা নিয়ে মাঝেমধ্যেই পাম্প মালিকরা পাম্প বন্ধ করে দেন। তারা গ্রাহকদের জিম্মি করে ফায়দা হাসিল করে। তবে দ্রুত পাম খুলে দেওয়ায় তেল নিতে পেরে ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেলাম।
মেসাস হাইওয়ে পেট্রোল সার্ভিসের মালিক মো: শেখ ফাহাদ ফারুক (পল) বলেন. সেন্ট্রালের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা বন্ধ রেখেছিলাম, পুনরায় তাদের নির্দেশেই খুলে দিয়েছি।
তবে সকালের দিকে এই ধর্মঘটের কারনে শতশত বাইকারা প্রেট্রোল পাম্পগুলোর সামনে থেকে ফিরে যাচ্ছেন, কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়েও সমস্যায় পরছেন।
দূর্ভোগের স্বীকার এসএম কামরুজ্জামান শিপলু বলেন, আমি পরিবার পরিজন নিয়ে পাবনা থেকে চাটমোহওে একটি দাওয়াতে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছি। বাইকে তেল নাই জন্য পাবনা কলেজ গেটের এই পাম্পে এসে শুনছি তাদেও ধর্মঘট। এখন উপায় নেই তেল দেওয়ার বলে জানিয়েছেন পাম্পের লোকজন। লোকাল তেল কেনার চেষ্টা করছি তাও পাচ্ছি না। লোকাল তেল না পেলে আবার বাসায় ফিরে যেতে হবে।
নূরে আলম নিউটন নামের অপর এক গ্রাহক বলেন, পূর্বে ঘোষনা দিয়ে এ ধরনের ধর্মঘট আহবান করলে, আমরা রাতেই তেল তুলে রাখতাম। আমার ব্যবসায়িক কাজে ঈশ^রদী যেতেই হবে। কি যে সমস্যায় আছি ভাই বলে বুঝাইতে পারবো না। এমন শতশত তেল গ্রঞকরা ফিরে যাচ্ছেন বিভিন্ন পাম্প ষ্টেশন থেকে।
এ বিষয়ে কথা হয় পাবনার ফরিদ ফিলিং ষ্টেশনের ম্যানেজার চন্দন কুমার রায়ের সাথে, তিনি জানান, হঠাৎ করেই রাতের এমন সিদ্ধানের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পরে দুপুর আড়াইটা থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলে আমরা স্বাভাবিক ভাবে তেল দিতে থাকি।
মেসার্স পাবনা প্রেট্রোলিয়াম ফিলিং ষ্টেশনের ম্যানেজার মো: লিটন মিয়া জানান, কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের চলতে হয়, তাই বন্ধ রাখতে হয়েছে। আবার কেন্দ্রের নির্দেশেই দুপুর থেকে তেল দেয়া শুরু হয়েছে।