পাবনায় এবার এক ভ্যান চালককে পিটিয়ে টাকা ছিনতাই করে উল্টো তাকেই চোর অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মুমুর্ষ অবস্থায় ওই ভ্যান চালককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলার সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। আহত ভ্যান চালক শাকিল ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের যশমন্তদুলিয়া গ্রামের মসজিদ পাড়ার ইনুর ছেলে।
শাকিলের চাচা আব্দুল জলিল জানান, রবিবার সকালে ৭২ হাজার সাতশত টাকা নিয়ে একটি ব্যাটারী চালিত অটো ভ্যান কিনতে কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। পথিমধ্যে যশমন্তদুলিয়া সিদ্দিকের বাড়ির সামনে থেকে তাকে সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্দ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন সরদার ও তার বাহিনী জোর পুর্বক টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় শাকিল চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে উল্টো শাকিল এই টাকা চুরি করেছে বলে অপবাদ দেয়। শাকিল প্রতিবাদ করলে একটি গাছের সাথে বেধে বেদম মারপিট করে গুরুতর জখম করে।
শাকিলের বাবা ইউনুস আলী ইনু বলেন, প্রতিবেশীদের নিকট থেকে খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। এ সময় আমরা জানতে পারি, যুবলীগ নেতা শাহিন সরদারের নেতৃত্বে ওই এলাকার যুবদল নেতা মৃত মজিদ সরদারের ছেলে কিরন সরদার, বিল্লাল শেখের ছেলে জুয়েল, মজিদ প্রাং এর ছেলে জুয়েল এরা তিনজন প্রথমে ধরে মারপিট শুরু করে। তারপর মাজেদের ছেলে মাসুদ, নয়ন, ভীষন ও রবি এরা সবাই মিলে গাছের সাথে ঁেবধে রড, হকিস্টিক, হাতুরী দিয়ে পিটায়। এক পর্যায়ে সে তাদের কথা মতো স্বীকারোক্তি না দিলে পায়ে ভ্রমর বিদ্ধ করে দেয়। নির্যাতনে শাকিল অজ্ঞান হয়ে পরলে টাকা ও মোবাইল নিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
পরে তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের রতন মেম্বর এসে শাকিলকে উদ্ধার করে প্রথমে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
শাকিলের বাবা ইউনুস আলী ইনু আরো জানান, শাকিলের অবস্থা খুব ভালো না। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। শাকিল একটু সুস্থ হলে আমরা থানায় মামলা দায়ের করবো। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
তাঁতিবন্দ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন সরদার জানান, আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়, রাজণৈতিক প্রতিহিংসায় আমাকে এই ঘটনার সাথে আমাকে জড়ানো হচ্ছে। তবে সে সত্যিকারেরই চোর। তাকে এলাকার লোকজন মারছে আমি মারার সময় ছিলাম না। এইখানে রাজনৈতিক ইস্যু আছে।
এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ জানান, ভ্যান চালককে বেদম মারপিটের খবর পেয়ে আমি শুনে শাহিনকে ফোন করেছিলাম, সে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তারপরেও আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখবো, যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply