পাবনার সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক অনুমোদিত দুলাই ইউনিয়ন শাখা কমিটি স্থগিত এবং উপজেলার সরকারি ডা. জহুরুল কামাল ডিগ্রি কলেজ শাখা কমিটি বাতিল ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ। কমিটি ঘোষণার একদিন পরেই তা বাতিল করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক । গঠনতন্ত্র ও সাংগঠনিক নির্দেশনা বহির্ভুত প্রক্রিয়ায় কমিটি দেয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটিও করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত জানান, কমিটি অনুমোদনের এখতিয়ার না থাকাসত্ত্বেও সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগ সরকারি ডা. জহুরুল কামাল ডিগ্রি কলেজ শাখা কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দুলাই ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না হওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক তা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার উল্লিখিত দুই ইউনিটে এক বছরের জন্য নতুন কমিটি অনুমোদন দেন সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তমাল ও সম্পাদক তুষার আহমেদ।
এদিকে, নিয়মবহির্ভূত প্রক্রিয়ায় প্রেস রিলিজ কমিটি দেয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েছেন সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তমাল ও সম্পাদক তুষার। সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা করে নিন্দা জানিয়েছেন অনেক নেতাকর্মী।
ছাত্রলীগের সাবেক এক কর্মী ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, যারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র সমন্ধে নির্বোধ ও জ্ঞান শূন্য তাদের দিয়ে রাজনীতিতে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা বোকামি ছাড়া কিছু না। গত বছরে প্রতিটি উপজেলায় একটা করে কলেজ সরকারী করণ করা হয় সেখানে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় দুলাই ইউনিয়ন ডা. জহুরুল কামাল ডিগ্রি কলেজ কে সরকারীকরণ হয়।
তদ্রুপ একটা সরকারী কলেজ একটি উপজেলার সম-মর্যাদা সেটাকে সাংগঠনিক ইউনিটের কমিটি ঘোষণার এখতিয়ার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের।
সাংগঠনিক ইউনিট ঘোষণা না করেই সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের মন গড়া কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালো।
সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সুস্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন জেলা, উপজেলা, কলেজ, ইউনিয়নের কমিটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আর হবে না, কেন্দ্রীয় দুই শীর্ষ নেতা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতের আধারে প্রেস বিজ্ঞপ্তি কমিটি দিয়ে আবারো ছাত্রলীগের রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ করার এখতিয়ার কারো নেই। বিষয়টি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি গোচর করছি। আশা করি আপনারা খুব দ্রুত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনবিধির জ্ঞান শূন্য সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে, পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, সুজানগর উপজেলায় নিয়মবহির্ভূত কমিটির বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকারি কলেজে কমিটি দেয়ার এখতিয়ার উপজেলা ছাত্রলীগের নেই । দুলাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগে সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়াদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ও চাকুরীজীবী, বিতর্কিত কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। প্রমাণ পেলে সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply