পাবনার সাঁথিয়ায় এক গৃহবধুকে ধর্ষণের ৫দিন অতিবাহিত হলেও লম্পট ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনী পুলিশ। এ দিকে ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ ও শংকায় রয়েছেন বাদিনীসহ তার পরিবার। মামলা তুলে নেয়ারও হুমকি দিচ্ছে ধর্ষিতার পরিবারকে। পুলিশ বলছে আসামী পলাতক থাকায় তাকে আটক করতে পারছেনা, তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজহার সুত্রে জানা গেছে, সাঁথিয়া পৌরসভাধীন নওয়ানী গ্রামের এক গৃহবধুকে প্রায়ই বিরক্ত করতো প্রতিবেশী মাদক মামলাসহ ৩টি মামলার আসামী আবুল কালামের ছেলে লম্পট লিটন। মাঝে মাঝে ওই গৃহবধুকে একা পেয়ে কু প্রস্তাব দিতো। এতে সে রাজী না হওয়ায় বিষয়টি ওই গৃহবধু তার স্বামী ও পিতাকে জানায়। এতে ওই লম্পট লিটন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারী দুপুরে ওই গৃহবধুর বাড়িতে কেউ না থাকায় কৌশলে তার শয়ন কক্ষে গিয়ে গামছা ও ওড়না দিয়ে হাতমুখ বেধে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে গত ১২ জানুয়ারী ওই ধর্ষিতা গৃহবধু বাদী হয়ে লিটনের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ওই গৃহবধুর শশুর জানান, মামলার পর থেকে তারা আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার গালাগালি ও ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা খুব ভয়ে আছি। তিনি বলেন, ধর্ষক হাতমুখ বেধে ধর্ষণ করে বাইরে থেকে ছিটকানি দিয়ে আটকে রেখে যায়। আমি যদি ওই সময় বাড়িতে না আসতাম তাহলে হয়তো সে শ^াসরোধ হয়ে মারাও যেতে পারতো। আমি ওর ফাঁসি চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশীরা জানান, এই লম্পট লিটন গ্রামে এমন খারাপ কাজ নেই করে না। সে এলাকায় মাদকসহ নারী ধর্ষণ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে দাপিয়ে বেড়ায়।
ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহআলম জানান, ধর্ষক লিটন পলাতক থাকায় তাকে এখনও আটক করতে পারিনি। তবে বিভিন্ন সোর্স লাগিয়েছি। অতি দ্রুত তাকে আটক করতে সক্ষম হব।
Leave a Reply