পাবনার সাঁথিয়ায় করোনা মহামারির সময় জন্ম নেয়া বিরল (হাইড্রোক্যাফালাস) রোগে আক্রান্ত শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস বাঁচতে চায়। দিনকে দিন শরীরের গঠনের চেয়ে মাথার আকৃতি বড় হওয়ায় দিশেহারা শিশুটির বাবা-মা। জান্নাতুলের বয়স দুই বছরের একটু বেশি।
বাবা দারিদ্র কৃষক, মা গৃহিনী। তার শরীরের গঠন অনুযায়ী মাথার আকৃতি অনেক বড় হওয়ায় হাঁটাচলা করতে পারে না। জন্মের পর থেকেই বিছানায় শুয়ে শুধু ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে থাকে। উন্নত চিকিৎসার অভাবে শিশুটি বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছে।
জানা যায়. পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গৌরীগ্রামের আব্দুল কাদের ও নাজমা খাতুন দাম্পতির তিন সন্তান। তিনটি সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান নাবিল (১০) জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোট মেয়ে জান্নাতুল জন্ম থেকেই রোগে আক্রান্ত। সাধারণ মাথার চেয়ে তার মাথার আকৃতি বেশ কয়েক গুন বড়। সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেয় শিশুটি।
হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান জান্নাতুলের বয়স দুই বছর ৩ মাস হলেও এখনো অন্যান্য শিশুদের মতো হাঁটাচলা করতে পারে না। টাকার অভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী বড় দুই সন্তানকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না ওই পরিবার। তারপর ছোট শিশুটির মাথার আকৃতি দিনদিন বড় হতে চলেছে। বাবা কৃষক আব্দুল কাদের তার শেষ সস্বল টুকু বিক্রি করেছেন ইতিমধ্যেই। দুই প্রতিবন্ধী শিশুর আর্থিক খরচ বহন করার মত ক্ষমতা তাদের নেই। বড় ছেলে নাবিলকে নিয়মিত ঔষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়েছিলেন সিআরপি’র চিকিৎসকরা। অর্থের অভাবে ঔষুধ কিনতে পারছেনা তারা।
জান্নাতুলের বাবা গরীর কৃষক আব্দুল কাদের কন্যার সুচিকিৎসার জন্য দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে আকুল আবেদন করছেন। কৃষক আব্দুল কাদেরের বিকাশ নং-০১৭৭৬-৩৮২৭৯৯।
Leave a Reply