পাবনায় ১১ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণ হয়েছে। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্য সালিশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকায় বিনিময়ে আপস মীমাংসার চেষ্টা করেছন। ধর্ষক ঘর মিস্ত্রি আব্দুল কাদের (৬০) জেলার ফরিদপুর উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়ন নারায়ণপুর গ্রামে ছৈমদ্দিনের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নারায়ণপুর গ্রামের বাদপাড়ায়।
ভিকটিমের বাবা বলেন, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আমার মেয়ে বাড়িতে একা ছিল এ সময় লম্পট আব্দুল কাদের সবার আড়ালে আমার বাড়িতে পানি খাওয়ার নামে প্রবেশ করে। বাড়িতে আমার মেয়েকে একা পেয়ে ঘরের মধ্যে জোর পূর্বক খারাপ কাজ করে। কান্নাকাটি করলে লম্পট পালিয়ে যায় এবং বিষয়টি কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। পরে আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ি ফিরলে ঘটনাটি খুলে বলেন। চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে নেওয়ার দরকার ছিল কিন্তু সম্মানের ভয়ে নিতে পারেনি।
এ বিষয়ে আমাদের মেম্বার মো: মোজাম্মেল হককে জানালে তিনি বিচার করে দেওয়ার কথা বলে। বিষয়টি কারো সাথে আলোচনা না করার কথাও বলেন তিনি। সোমবার (১০ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে মেম্বারের তার নিজ বাড়িতে সালিশ বসায়। সালিশে লম্পট আব্দুল কাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আমাদের হাতে বিশ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি চেপে যেতে বলেন। আমি টাকা না নেওয়ায় আমাকে বিভিন্ন রকমের ভয়-ভীতি দেখিয়ে সালিশ থেকে বের করে দেন।
্ও সময় তিনি আরো বলেন, আমরা মামলা মোকদ্দমা করলে এলাকায় বসবাস করতে পারবো না, তাই মামলা করতে ভয় পাচ্ছি।
এ বিষয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মোজাম্মেল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি, একাধিক বার মুঠোফোনে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করে নাই।
একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ঝন্টু মিয়া বলেন, এলাকাবাসীর মুখ থেকে এ ঘটনা শুনেছি এবং মেম্বার নিজ বাড়িতে দরবার সালিশের করেছে এলাকার লোকজন বলাবলি করছেন বলে জানান তিনি।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান বলেন, এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমি খোজ নিয়ে দেখছি, আসলে ঘটনাটি।
এ বিষয়ে পুঙ্গলী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনের ভূমি বলেন, এ ঘটনা আমার জানা নেই, তবে মেম্বার যদি সালিশ করে থাকে তবে মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।