পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হাফিজুর রহমান (৪৫) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। শনিবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাফিজুর রহমান করোনার (কোভিড-১৯) ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন৷ এক সপ্তাহ আগে জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন তিনি। গত বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর মৃদু শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাঁকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পরে রাতে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান। করোনা ভাইরাসে উপসর্গ দেখা দেয়ায় চার দিন আগে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এখনো পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ দাফন করা হয়েছে ।]
এদিকে, নতুন করে আরো ০২ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন আক্রান্ত এই দুইজন সুজানগরের বাসিন্দা৷ এই নিয়ে শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হলো ২৭০ জন।
অপরদিকে, পাবনা সদর উপজেলা করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে অবস্থান, আক্রান্ত ১৫৬ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে সুজানগর, আক্রান্ত ৩৮ জন। এ ছাড়া ঈশ্বরদীতে ১৮, জন, আটঘরিয়ায় ১২ জন ও ভাঙ্গুড়ায় ১৪ জন, চাটমোহরে ০৮ জন, সাঁথিয়ায় ১৯ জন, ফরিদপুরে ৪ এবং বেড়ায় ১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় ২১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধে্য ০২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০ জন। সবারই শারীরিক অবস্থা বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত পাবনায় করোনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৬ এপ্রিল। এরপর আজ জেলায় ২৭০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো।
Leave a Reply