পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী দাবি আদায়ের নামে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে প্রকল্পটি বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে শহরের ফকিরের বটতলা এলাকায় সচেতন নাগরিক সমাজ ঈশ্বরদী’র ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ঈশ্বরদীর শিল্প ও বণিক সমিতি, রিক্সা চালক সমবায় সমিতি, সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন পেশাজীবি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের শত শত নারী ও পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, ঈশ^রদী প্রেসক্লবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন সচেতন নাগরিক সমাজ ও সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের ওহিদুজ্জামান টিপু, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আশিকুর রহমান নান্নু, সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, আহসান হাবিব, এস আলমগীর, রফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ, শামসুজ্জোহা, আমিনুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রকল্প এলাকায় দাবি আদায়ের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টির কারণে প্রকল্প চালু করে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে অনিশ্চতার সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ঈশ্বরদীবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের প্রকল্পকে বন্ধ করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রখে দাঁড়াতে আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।

প্রকল্পটির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, চলতি মাসেই গ্রীডের সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হওয়ার কথা। এরপর ডিসেম্বরে স্টার্টআপ করার কথা। এই অবস্থায় প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভ-সমাবেশ করে বিশৃংখলা সৃষ্টির ঘটনা অশুভ সংকেত।
দাবি আদায়ে আন্দোলনের নামে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে এবং এই প্রকল্পকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মূখে ঠেলে দিচ্ছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রূপপুর প্রকল্পের নিরাপত্তা বিঘিœতকারী ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

বক্তারা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প সার্বণিক আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার নজরদারিতে থাকে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে আন্দোলন, সমাবেশ বিশ্বে নজিরবিহীন ঘটনা। প্রকল্প এলাকায় নিরাপত্তার শর্ত ভেঙ্গে মিছিল-সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছে। একই সাথে প্রকল্পের অগ্রগতি ও পরবর্তী ধাপের আইএইএ এর লাইসেন্স প্রাপ্তিতে হুমকির মধ্যে ফেলেছেন।