শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন

মাদরাসা সভাপতি না হওয়ায় পৌরসভায় সুপারকে আটকে রেখে মারপিট

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পাবনার সাঁথিয়ায় মাদরাসা কমিটির সভাপতি না করায় মাদরাসা সুপারকে পৌর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে সাথিয়া পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে। রবিবর সকাল সাড়ে দশ টার দিকে সাথিয়া পৌরসভায় মেয়রের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে মেয়র এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমন ঘটনা পৌরসভায় ঘটেনি। কারা কথন কিভাবে কোথায় কি করেছেন আমর জানা নেই।

সাঁথিয়া বালিকা দাখিল মাদাসার অফিস সহকারী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো: মোক্তার হোসেন জানান, আমি আর সুপার এক সাথে সকাল ৯টার দিকে মাদরাসায় এসে অফিস কক্ষে বসে কাজ শুরু করি। আধা ঘন্টা পর সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহাবুরুল আলম বাচ্চুর আস্থাভাজন দুইজন লোক বিশু আর শাহাদত হোসেন সাদ্দাম এসে আমাদের পৌরসভায় যেতে বলে। প্রথমে আমরা একটু পর আসছি বলে তাদের বিদায় দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাদেও সাথে খারাপ আচরণ করতে শুরু করেন। পরে আমরা বাধ্য হয়েই তাদেও সাথে রওনা দেই। পৌরসভায় মেয়রের কক্ষে ঢুকতেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন মেয়র। তার কিছুক্ষন পর তিনি বের হয়ে গেরৈই সুপারকে অন্য কক্ষে নিয়ে বিশু সাদ্দাসসহ আরো ৪/৫ জন কিল ঘুসি থাপ্পর মারতে শুরু করে। পরে আমি সেখান থেকে বের হয়ে কৌশলে কয়েকজনকে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করি। এর কিছুক্ষন পরই থানা থেকে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। তবে উপস্থিত পুলিশকে তারা পৌর ট্যাক্সের জন্য ডাকা হয়েছে বলে মিথ্যা বলে পালিয়ে যায়।


পাবনা-১ আসনেরর সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর ছেলে বেড়া পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন সাঁথিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকনকে আমাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি করার জন্য নির্দেশ দিলে আমরা তাকে সভাপতি করা হয়। এমপি স্যারের ছেলের কথা মতো সভাপতি করায় পৌর মেয়র ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদেও মারপিট করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এই বিষয়টি ছাড়া পৌর মেয়র বা তার লোকজনের সাথে আমাদের কোন ঝামেলা নেই। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করছি।


সাঁথিয়া বালিকা দাখিল মাদাসার সুপারেন্টেন্ড (সুপার) আব্দুল বারীকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাঁথিয়ার পৌর মেয়রের অফিস কক্ষে আটকে রেখে মারপিট করেছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি এবং আইনী ভাবে মোকাবেলা করবো বলেও জানান তিনি। আমাকে আটকিয়ে মারপিট করার সময় পাবনার পুলিশ সুপার স্যার ফোন করেছিল। এর পরপরই থানা পুলিশ এসে আমাদেও উদ্ধার করেন।
আমরা যতটুকু জেনেছি মেয়রের নির্দেশে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় মেয়রের লোকজন। সাঁথিয়া ফকির পাড়ার মৃত আইউব আলী কাজীর ছেলে সাদ্দাম, ও ইসলামের ছেলে বিষু।


সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল লতিফ মাদরাসা সুপার ও অফিস সহকারীকে আটকিয়ে মারপিট করার জন্য ৯৯৯ এ কল পেয়েছিল। আর অন্য কাজে থাকায় বিস্তারিত বলতেও পারছি না।


এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আমরা জানি ডেপুটি স্পিকার মহোদয়ের নির্দেশ ছিল পৌর মেয়রকে সভাপতি করার জন্য। পরে ডেপুটি স্পিকার মহোদয়ের ছেলের নির্দেশে আরেকজনকে সভাপতি করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এরই জের ধরে রাগের বশে হয়তো মেয়রের লোকজন এমন কাজ করেছেন। এখনো আমরা লিখিত অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পুলিশ সুপার স্যার বিষয়টি অবহিত আছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..