পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পূর্বের শক্রতার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে স্কুল ছাত্রসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পাঁছ বেতুয়ান গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর রব্বান আলী (২৫) কে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার আইয়ুব আলী বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আহতদের মধ্যে মোন্নাফ (৩৫), ইয়াকুব (৪০), সোহাগ (১৭), ইউছুব (৪০), রমজান (৩৫), ফারুক (৩৫), ইউছুব (৪৫) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সমশের (৪০), রবি (৪৫), মকছেদ (৫০), ছাদ্দাম (৩০) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত বছর ওয়াবদা বাধের ওপর একটি ক্লাব ঘর হয়। এরপর ওই ক্লাব নিয়ে এলাকায় এক পক্ষ ৪০ ও অপর পক্ষ ৬০ নামে দুটি গ্রুপ হয়। পরবর্তীতে উভয় গ্রুপের লোকজন ওয়াবদা বাধের ক্যানালে মাটি ফেলে ভরাটের পর বসতবাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করে। এই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল রাতে এক পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইট-পাটকেল, লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। পরে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। তবে, সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে ৬০ গ্রুপের সমশের ও ৪০ গ্রুপের নজরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত মেডিক্যাল অফিসার ডা. বৃষ্টি জানান, আহতদের মধ্যে সাতজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের মাথা ও শরীরে বিভিন্নস্থানে ধারালো কিছুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. ফয়সাল বিন আহসান জানান, এ ঘটনায় আইয়ুব আলী বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ শুক্রবার রব্বান আলী (২৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a Reply