বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন

ভাঙ্গুড়া পশুহাটে নিম্নমানের কাজ করায় কাজ বন্ধ করে দিল পৌর প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার পশু হাটের মাঠের উন্নয়নে নিম্নমানের ইট দিয়ে ছলিংয়ের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফরিদ এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে। এই কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ভাঙ্গুড়া পৌরসভা। নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করার অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিয়া আক্তার রোজি কাজটি বন্ধ করে দেন।
ভাঙ্গুড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, ভাঙ্গুড়া পৌরসভা ১৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যায়ে ৩৪.৮ মিটার দৈর্ঘ ও ২৯.২৮ মিটার প্রস্থ কাজের একটি বিজ্ঞপ্তির আহ্বান করেন। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফরিদ এন্টারপ্রাইজের।

গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঠিকাদার এই কাজ শুরু করেন পশু হাটের মাঠে ছলিংয়ের বালি বিছানার কাজ শেষ পর্যায়ে। নিম্নমানের ইট দিয়ে প্রায় ৭০% ছলিং এর কাজ শেষ করেছে ওই প্রতিষ্ঠানা। এই নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করায় এলাকাবাসী পৌর ইঞ্জিনিয়ার, পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট অভিযোগ করেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিয়া আক্তার রোজি, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করার সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
এলাকাবাসী জানান, এই এলাকার একমাত্র পশুহাট এটি, বর্ষা মৌসুমে এ হাটে কেনাবেচা করা খুবই কষ্টের। তাই ভাঙ্গুড়া পৌরসভা এই হাটের উন্নয়নে কাজ শুরু করেন। এখন দেখছি ঠিকাদার একেবাওে নি¤œমানের কাজ করছেন। আমরা ভালো কাজ না হলে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিকট আবারো অভিযোগ দিব বলেও জানান। আমাদের দূর্ভোগ হবে আর ঠিকাদার খারাপ কাজ করবে এটা আমরা কখনোই মেনে নিব না।

কাজ বন্ধের কথা অস্বীকার করে ফরিদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্মাধিকারী ঠিকাদার ফরিদ হোসেন বলেন, আমি ভাল মানের ইট দিয়েই ৭০% কাজ করছি আমার কাজ চলমান রয়েছে।
ভাঙ্গুড়া পৌরসভার (সাইট ইঞ্জিনিয়ার) হাবিবুর রহমান বলেন, কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন কি অবস্থায় আছে আমি জানি না, আমি অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি আছি।

পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব হোসেন বলেন, নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করায় পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নির্দেশে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ইটের মান খুব খারাপ না, তবে সামান্য একটু খারাপ আর কি। ৭০ ভাগ কাজ নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইট তুলে মানসম্মত ইট ব্যবহার করা হবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিয়া আক্তার রোজি বলেন, নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করার সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। মানসম্মত ইট নিয়ে এসে পুনরায় কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..