পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নোরুটে ফেরী সার্ভিস চালুর উদ্বোধনের নাম ফলকে স্থানীয় এমপি আহমেদ ফিরোজ কবিরের নাম না থাকায় তার উপস্থিতিতেই তা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার লোকজনেট বিরুদ্ধে। এ সময় বিআইডব্লিউটিএর লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরও ধাওয়া করা হয়।
এমপির সমর্থক ফিরোজ মোল্লা বলেন, আমাদের এমপির নাম না থাকায় স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে এই ফলক ভাংচুর করেছে।
কাজীরহাট ঘাটের ইজারাদার সাদ্দাম হোসেন জানান, দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর পাবনার কাজীরহাট ও মানিকগঞ্জের আরিচা নৌ রুটে ফেরী চলাচলের উদ্যোগ নেন বর্তমান সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী এই নৌরুটের উদ্বোধন করার কথা ছিল নৌ পরিবহন প্রতিমন্তী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মহোদয় এর। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির ওই এলাকা দেখতে যান। এ সময় তার উপস্থিতিতেই তার লোকজন তা ভেঙে চুরমার করে দেন।
এ বিষয়ে ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বকুল বলেন, এমপি সাহেব এলে তার সামনেই ওই এলাকার লোকজন তা ভেঙে দেয়। নিয়মানুযায়ী প্রধান অতিথির নামের পরে স্থানীয় এমপির নাম থাকার কথা, কিন্তু তার নাম মা দেওয়ায় আমাদের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে তা ভেঙে দেয়।
এ ব্যাপারে এমপির লোক হিসেবে ওই এলাকায় পরিচিত খালেক মোল্লা জানান, আমি ভাঙি নাই, কারা এ কাজ করছেন সেটাও জানি না।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর টেকনিক্যাল সহকারী শহিদুল ইসলাম জানান, কারা ধাওয়া করছেন, তাদের আমরা চিনি না। তবে এমপি সাহেবের নাম না থাকায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এৃন কাজ করেছেন। বিষয়টি অফিসিয়ালি দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এমপি সাহেব আাসার পর তার উপস্থিতিতে তার সামনে এভাবে ভেঙে দেয়া হলেও এমপি বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলেন নাই। তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই এই নাম ফলকটি ভেঙে ফেলা হয়। এমপি সবই জানতেন, এটি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভাঙ্গা হয় বলেও তাদের দাবী।
আমিনপুর থানার ওসি ঘটনাস্থলে থাকলেও বিষয়টি জানেন না বলে জানান। তবে এমপি স্যার এসেছিল সেখানে আমি গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি আহমেদ ফিরোজ কবিরের মুঠোফোনে কয়েকবার চেস্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply