গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তান্ডবের প্রতিবাদে পাবনায় খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে ফিলিস্থিন সমর্থনকারীরা। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে এসব মিছিল বের হতে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ বিক্ষোভ মিছিল শান্তিপূর্ণ হলেও বিক্ষোভকারী একটি দল শহরের স্বাধীনতা চত্ত্বরের পাশের লতিফ টাওয়ারের বাটা শোরুমে ঢিল নিক্ষেপ করে গ্লাস ভাংচুর করেছে। শনিবার দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই মিছিল থেকে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) আব্দুস সালাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শোরুম সংশ্লিষ্টরা জানায়, ফিলিস্থিনের পক্ষে ও বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বাস টার্মিনাল এলাকার মুজাহিদ ক্লাব ছাত্রজনতার ব্যানারে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল দুপুর একটার দিকে শহরের স্বাধীনতা চত্ত্বরে এসে অবস্থান করে। মিছিলটি সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ গেইটের দিক থেকে শহরেরর নতুন ব্রিজ হয়ে স্বাধীনতা চত্ত্বরে আসে। এরপর হুট করেই তাদের কাছে থাকা বিভিন্ন সাইজের ইটপাটকেল লতিফ টাওয়ারস্থ বাটা শোরুমকে লক্ষ্য করে ছুঁড়তে থাকে। এ সময় শোরুমের কয়েকটি গ্লাস ভেঙে যায়। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে তৎক্ষনাৎ শোরুমের সাটার নামিয়ে দেয় শোরুম সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে ওসি আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ভাঙচুর শেষে মিছিল নিয়ে যাবার পথে সরকারি শহিদ বুলবুল কলেজ গেইটের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। এরা সবাই মুজাহিদ ক্লাব এলাকার। জিজ্ঞাবাদ করে দেখবো, কেনো তারা এধরণের কাজ করলো।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে ফিলিস্থিনের পক্ষে বড় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে পাবনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষও অংশ নেন। এদিনও লতিফ টাওয়ারের এ বাটা শোরুমে জুতা ও ঢিল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা। তবে মিছিল শুরু হবার আগেই শোরুম বন্ধ করে দেয়ায় ও ছাত্রনেতারা বিক্ষোভকারীদের নিবৃত্ত করায় কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘগটেনি। এছাড়া এদিন দুপুরে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের রায়ের বাজারের লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডরের পাশের বাটার শোরুমের সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে কিছু ছাত্রজনতা।