হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানোর কারনে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের চাপায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে শহরের অনন্ত বাজার সংলগ্ন দক্ষিণ রঘবপুর মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যাক্তির নাম লক্ষণ কুমার দাস (৫০), সে পাবনা সদর উপজেলার শ্রীপুর এলাকার সূর্য কান্ত দাসের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার এসআই জাকির হোসেন বলেন, রাস্তা পারাপারের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি তাকে ধাক্কা দেয়। খুব জোরে ধাক্কা লাগার কারণে লোকটির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরন করেন। মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লোকটি যখন রাস্তা পার হচ্ছিল বাসটি তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। তাকে ১৫ থেকে ২০ ফিট ছেঁচড়ে নিয়ে যায়। যার কারণে লোকটির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাসটি চালাচ্ছিনে জালাল উদ্দিন নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চালক সহকারী। বাসের চালকরা অনুপস্থিত থাকলে তিনি নিয়মিতই গাড়ি চালান। শুধু জালালই না, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন চালক সহকারী (হেল্পার) নিয়মিতই চালকদের অনুপস্থিতিতে গাড়ি চালান। এটি পরিবহন পুলের উদাসীনতার কারনেই এমনটি হয় বলেও নিশ্চিত করেন বিশববিদ্যালয় পরিবহন পুলের চালকরা।
গাড়িতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক স্টাফ বলেন, নিয়মিত চালক হলে এ দুর্ঘটনাটা নাও হতে পারত। ওই পথচারী কখন গাড়ির সামনে চলে আসেন, সেটা চালক খেয়াল করেননি। গাড়ির যাত্রীরা বলার পরে তিনি গাড়ি থামিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের প্রশাসক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, স্টাফ বাসের বাসটি ভার্সিটি থেকে বের হয়ে শহরের লাইব্রেরী বাজার হয়ে আবার ক্যাম্পাসে ফেরত আসে। ফেরত আসার সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। আমি নিজে গিয়ে লাশটি দেখে এসেছি। যদি তদন্তে গাড়ি চালকের কোনো ভুল উঠে আসে আমরা ব্যবস্থা নিব। তবে চালক সহকারী দিয়ে গাড়ি চালানোর বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তুর দেননি।