শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
যৌতুক দাবি ও অর্থ লুটের মামলা তুলে নিতে গৃহবধুকে হত্যার হুমকি টোল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোলাগুলি, গুলি খেয়ে নদীতে নিখোঁজ ১ ভাঙ্গুড়ায় আ.লীগ বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ২০, আটক ৫ ফুলেল সংবর্ধনার টাকা শহীদ পরিবারকে দিলেন নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ বেড়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণে জরিমানা ভাঙ্গুড়ায় জিয়া সাইবার ফোর্সের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিনিময় করবে পাবিপ্রবি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সুজানগরে প্রতিমা ভাঙচূরের ঘটনায় যুবলীগ কর্মী গ্রেপ্তার রামগিরি ও নীতেশ রানের ফাঁসির দাবিতে পাবনায় বিক্ষোভ সমাবেশ জুলাই বিপ্লবে শহীদদের পরিবারের পাশে পাবিপ্রবি উপাচার্য

পাবিপ্রবিতে শহিদ মিনারে ফুল দিতে বাধা, দু’পক্ষের হাতাহাতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

পাবনা প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম:
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শহিদ মিনারে ফুল দিতে বাধা দেওয়ায় কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


জানা যায়, বুধবার সকালে প্রভাত ফেরি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্টার ফুল দেওয়া শেষ করেন। তারপর এক এক করে বিভিন্ন বিভাগ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দেন। সবার শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ফুল দিতে আসেন। এ সময় কর্মকর্তা পরিষদ নেতারা ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ফুল দিতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে দুটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ সময় ধরে হাতাহাতি ও বাকবিতন্ডা চলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এর কিছুক্ষণ পর ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা এই ঘটনার বিচার দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে বসে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. ঘাবিবুল্লাহ, প্রক্টর ড. কামাল হোসেন, সহকারী প্রক্টর ড. মাসুদ রানা, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. নাজমুল হোসেন এসে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে তারা শহিদ মিনারে ফুল দেন।

ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, তারা শহিদ মিনারে ফুল দিতে গেলে কর্মকর্তা পরিষদের সদস্যরা তাদের শহিদ মিনারে উঠতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে কর্মকর্তা পরিষদের সদস্যরা তাদের ফুলের ডালার ব্যানার ছিঁড়ে নিয়ে যান এবং এক নারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলেন।

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে কর্মকর্তা পরিষদের দাবি, কোনো নারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলা হয়নি বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ফুল দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের একটা সংগঠন থাকবে। সেখানে প্রশাসনের সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য নামমাত্র একটা সংগঠন খোলা হয়েছে। যার কোনো বৈধতা নাই। যেহেতু এই সংগঠনের কোনো বৈধতা নাই, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই আমরা বাধা দিয়েছি। এই কর্মকর্তাদের ফুল না দেওয়ার বিষয়টি প্রশাসনকে আগেই অবগত করেছি। যদি প্রশাসন আগেই ব্যবস্থা নিতেন, তাহলে আমরা তাদেরকে বাধা দিতাম না।

ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জিএম শামসাদ ফখরুল বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের যে কোনো সংগঠন খোলার অধিকার আছে। কর্মকর্তা পরিষদ সংগঠনে নানা অনিয়মের কারণে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসি। আজকে আমরা ফুল দিতে গেলে তারা আমাদের ফুলের ডালার ব্যানার ছিঁড়ে নিয়ে যায় এবং এক নারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসন যদি এর সুষ্ঠু বিচার না করে, তাহলে আমরা শনিবার থেকে লাগাতার কর্মসূচি দেবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা কর্মকর্তাদের দুটি সংগঠনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। উপাচার্য মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি, আগামীতে দুটি সংগঠন নিজেদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখবে।

এ বিষয়ে পাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, শহীদ মিনারে কর্মকর্তাদের দুপক্ষের একটা ঝামেলা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও মানবিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. খালেদ ইকবাল চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..