পাবনার ঈশ্বরদী-ঢালারচর রুটের ছয়টি স্টেশনে ১১ দিন ধরে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। গত ১৭ অক্টোবর থেকে এসব স্টেশনের টিকেট বিক্রিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ রেলরুটে ঢালারচর এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন চলাচল করে। রেলের লোকবল সংকটের কারণে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে নিয়োগ (টিএলআর) শ্রমিকদের দিয়ে এসব স্টেশনে টিকেট বিক্রি করা হতো। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে টিএলআর শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলে বন্ধ হয়ে যায় এসব স্টেশনে টিকেট বিক্রিসহ যাবতীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম। ফলে, টিকেট কাটতে না পেরে যাত্রীরা বিনা টিকিট ট্রেনে উঠতে বাধ্য হচ্ছে। ট্রেনের মধ্যে এদের টিকিট সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন টিটিইরা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী থেকে পাবনার ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার রেলপথে স্টেশন ১১টি। এর মধ্যে কাশিনাথপুর, তাঁতিবন্ধ, রাজাপুর, বাঁধেরহাট, দুবলিয়া ও রাঘবপুর স্টেশনে ১১ দিন ধরে টিকিট বিক্রিসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এসব স্টেশনে রেলওয়ের নিজস্ব কোনো লোকবল নেই। টিএলআরদের দিয়ে টিকিট বিক্রিসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। এসব স্টেশনে কর্মরত টিএলআর শ্রমিকরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ১৭ অক্টোবর থেকে স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ঢাকায় আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাঁতিবন্ধ স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠার আগে টিকিট কাউন্টারে গিয়েছিলাম। কিন্তু কাউন্টার বন্ধ থাকায় টিকিট কাটতে পারিনি। এখন ট্রেনের টিটিইর কাছ থেকে টিকিট কেটে নিলাম।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ঢালারচর এক্সপ্রেসের একজন টিকেট পরিদর্শক বলেন, ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়। ছয়টি স্টেশনের কাউন্টার বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বিনা টিকিট ট্রেনে উঠেছেন। এদের টিকিট করে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, রেলের নিজস্ব জনবল সংকট থাকায় এসব স্টেশনে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে অস্থায়ী শ্রমিক দিয়ে কার্যক্রম চালানো হয়। শ্রমিকরা আন্দোলনে যোগ দেয়ায় হঠাৎ করেই ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply