কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে দেয়ার সরকারী সিদ্ধান্তে সারাদেশের মত পাবনায় খুলেছে সব ধরণের বিপনী বিতান ও দোকানপাট। রবিবার সকাল থেকেই শহরের নিউমার্কেট, হাজী মার্কেট, খান বাহাদুর শপিং সেন্টার ও দই বাজার এলাকার বিভিন্ন দোকানে ভীড় করতে থাকেন ক্রেতারা। ফুটপাতে নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকারেরাও।
রবিবার সকাল থেকে পাবনা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায় পুরোদমে দোকান ও বিপনী বিতান খুললেও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা মানছেন না অনেকেই। কোন কোন দোকানে বিক্রেতারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রেখে মাস্ক ব্যবহার করলেও অধিকাংশ দোকানীরা মাস্ক পড়ছেন না। কেউ কেউ মাস্ক রেখেছেন পকেটে কিংবা থুথনিতে। অসচেতনায় পিছিয়ে নেই ক্রেতারাও। মাস্ক ছাড়া কেনাকাটা করছেন শিশুদের নিয়েই। দোকানগুলিতে গাদাগাদি করে চলছে বেচাকেনা, নেই কোন শারীরীক দুরত্ব।
পাবনা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, সরকার আমাদের দোকান খোলার সুযোগ দেয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য সকল ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। বার বার সতর্ক করা হচ্ছে। এরপরেও কেউ অবহেলা করলে তার দায়িত্ব আমরা নেব না। প্রশাসন মনিটরিং করলে সমিতির পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা হবে।
দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপনী বিতানে অভিযান চালায় প্রশাসনের মনিটরিং টিম। এ সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোকসানা মিতা বেশ কয়েকজন দোকানীকে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা করেন।
তবে, ঈদের কেনাকেটার উদ্দেশ্যে মার্কেটে উপচে পড়া ভীড় হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন সচেতন মহল। তবে, অবহেলায় পরিনতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় পাবনায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৫৭ জন। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট সালেহ মোহাম্মদ আলী জানান, গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে আশংকা জনক ভাবে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে শয্যা সংখ্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। সংকট রয়েছে অক্সিজেনেরও। এ পরিস্থিতিতে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
Leave a Reply