পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে ১১ নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাধানগর মক্তব পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে দশ জন আহত হয়েছে। পুণরায় সংঘর্ষের আশংকায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভা নির্বাচনে ১১ নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর ফরিদুল ইসলাম ডালুর পক্ষে মিছিল বের করেন তার সমর্থক কয়েকশ নারী পুরুষ। এ সময় একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্ব›দ্বী পাঞ্জাবী প্রতীকের প্রার্থী সানাউল হক সানুর সমর্থকরা হাতুরী ও রড নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকজন নারীকে আহত করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলে মিছিল বের করেন ডালুর সমর্থকরা। পরে, পুলিশী প্রহরায় কাউন্সিলর প্রার্থী ডালুর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে মক্তব মোড় এলাকায় এলে, সানুর সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল ইসলাম ডালু বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আমার নারী সমর্থকদের মিছিল ও গণ সংযোগের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। হঠাৎ করেই সানাউল হক সানুর ছেলে তুহিনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক এসে হাতুরি, রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের করতে বাধা দেয় । আমার সমর্থকরা প্রতিবাদ জানালে তারা নির্মমভাবে আমার নারী কর্মী বীনা, আরজিনা, লতিফা, ফারজানাকে পেটায়। আমি তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আসার পর তার পালিয়ে যায়। পরে, পুলিশীর প্রহরায় আমরা মিছিল বের করি। মক্তব মোড় এলাকায় তারা আবারো মিছিলে হামলা করে।
তবে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে পাঞ্জাবী প্রতীকের প্রার্থী সানাউল হক বলেন, ফরিদুল ইসলাম ডালুর নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি ও আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। মিথ্যা রটনা করে তার সমর্থক সন্ত্রাসীরা আমার ছেলে তুহিনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। সে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তবে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা সফল হবে না। পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রওশন আলী জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়েই আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয়পক্ষকে সংঘর্ষে না জড়াতে সতর্ক করেছি।
Leave a Reply