পাবনা ব্রিজ ভাঙ্গা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদর উপজেলা চরতারাপুর ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। মঙ্গরবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, সম্প্রতি পাবনা থেকে প্রকাশিত প্রত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে গভীর রাতে ব্রীজ ভাঙ্গার অভিযোগ অবৈধ বালু দস্যূদের বিরুদ্ধে শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, শনিবার ২১ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে পাবনা সদর উপজেলা চরতারাপুর ইউনিয়নের কাঁচিপাড়া গ্রামের ব্যস্ততম সড়কের ব্রীজ ভেঙ্গে দিয়েছে অবৈধ বালু দস্যূ’রা।
যে ব্রিজটি প্রায় দশটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক। চরতারাপুর পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কওে অবৈধ বালু দস্যূরা বড় বড় ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে বালু বোঝাই ট্রাক সদ্য মেরামতকৃত সড়ক দিয়ে চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে, রাতের অন্ধকারে ভেকু দিয়ে ব্রিজটি ভেঙে দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, সাংবাদে উল্লেখ্য করা হয়েছে, চরতারাপুর ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবু গং একাধিকবার এই সড়ক দিয়ে ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে বালু বিক্রিও চেষ্টা করে এলাকাবাসীর বাধার মুকে ট্রাক চলাচল করতে না পারায় ভেকু দিয়ে ব্রিজটি ভেঙে দিয়েছে। এবং ইউপি সদস্য একটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিও বটে। প্রকাশিত এসব তথ্য মোটেই সঠিক নয়। আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি বালুদস্যূ নই, বালুর ব্যবসাও আমার নেই। যে ব্রিজটি ভাঙ্গার কথা বলা হয়েছে সেই ব্রিজটি আমার বাড়ি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে। আমার বাড়ি নতুন গোহাইরবাড়ি, আর ব্রিজটি কাঁচিপাড়া গ্রামে।
অতএব এক গ্রামে থেকে আরেক গ্রামে গিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে ব্রিজ ভেঙেগ দেয়ার প্রশ্নই উঠে না বরং আমি গ্রামের মানুশের পাশে থাকার চেষ্টা করি সবসময়। আর আমি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী নই। এ তথ্যও মিথ্যা, আসলে ঘটনা আমার কাছে মনে হয়, সামনে ইউপি নির্বাচন, সে কারণে গ্রামের একটি পক্ষ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সুনামক্ষুন্ন করতে আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত করছে। এলাকারবাসীর কাছে আমাকে খারাপ লোক হিসেব উপস্থাপন করার অপচেষ্টা করছে। আমি দাবি করতে পাড়ি, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করি। আমি ও আমার পরিবার আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ইউপি সদস্য হিসেবে করোনাকালীর সময়ে আমি অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করেছি। আমার বাড়ি নতুন গোহাইলবাড়ি, এই গ্রামে ১ হাজার ৫০০শত ভোটার রয়েছে। যার বেশির ভাগই আওয়ামীলী পন্থি। আর যে গ্রামে ব্রিজ ভাঙ্গা হয়েছে সেই কাঁচিপাড়া গ্রামে ভোটার ১হাজার ২০০শত জন। এই গ্রামটি বিএনপি পন্থি বা স্বাধীনতা বিরোধী এলাকা হিসেবে পরিচিত। সামনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে বিভ্রন্তি ছড়ানো হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। তাই কে বা করা ব্রিজ ভেঙ্গেছে, তার জন্য আমাকে দায়ী করে সংবাদ প্রকাশে আমি মার্মহত। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, সেইসাথে সাংবাদিক ভাইদের কাছে আবেদন সঠিক তথ্য তুলে ধরবেন, মিথ্যার মুখোশ উন্মোচন হবে।
Leave a Reply