গত দুই মাসে পাবনায় প্রায় সাত হাজার পরিবারকে খাদ্য ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে ডাঃ আহমেদ মোস্তফা নোমান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের মাধ্যমে এ সহায়তা দেওয়া হয়। পাবনা পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার ২টি ইউনিয়ন, আটঘরিয়া উপজেলা এবং সুজানগর উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাধ্যমে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এই সহায়তা। কর্মহীন নারী ও পুরুষের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ, আটা,সেমাই,চিনি সাবানসহ নিত্যপণ্যের প্যাকেট।
জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতাল এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডাঃ আহমেদ মোস্তফা নোমান বলেন, আমরা চাই পাবনার দিনমজুর, রিকশাচালক, মোটরশ্রমিকসহ বর্তমানে কর্মহীন একটি মানুষও যেন না খেয়ে থাকেন। গনতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশমাতা খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্র নায়ক জনাব তারেক রহমানের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। খেটে খাওয়া মানুষ কাজে না ফেরা পর্যন্ত সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে তার নিজ হাতে গড়া সেচ্ছাসেবী সংগঠন মশাল এর মাধ্যম দিয়ে এক হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগের মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হয়।
মে মাসে মশাল, পাবনা জেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি,কৃষকদলের সহায়তায় পাবনা পৌর এলাকা এবং সদর উপজেলার ২টি ইউনিয়নে এক হাজার, পাবনা পৌরসভায় তিন হাজার, আটঘরিয়া পৌরসভায় এক শতাধিক এবং সুজানগর উপজেলায় দুই হাজার দরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ডাঃ নোমান’র দেওয়া প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, আলু, তেল,আটা ও লবণসহ ১৫ থেকে ১৮ কেজি বিভিন্ন পণ্য দেওয়া হয়েছে।
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক জানান, জেলা বিএনপি,পৌর বিএনপি সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পণ্য প্যাকেট করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিচ্ছেন। মাঠে নিরাপদ দূরত্ব মেনে কর্মহীন মানুষের হাতে পণ্য তুলে দেওয়া হয়। পাবনা পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ও জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডাঃ আহমেদ মোস্তফা নোমান এই কার্যক্রম তদারকি করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সদস্য সচিব সুজানগরের কৃতি সন্তান কৃষিবীদ হাসান জাফির তুহিন বলেন, করোনার সময়ে জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন মশাল যে সহায়তা করেছে তা অতুলনীয়। প্রকৃত দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছেছে।
পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বয়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসন’র উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, তরুন এই নেতা ডাঃ নোমানকে পেয়ে পাবনা জেলা বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে, আর আমাদের দল যে আসলেই জনগনের জন্য কাজ করে তা এই সংগঠক প্রমান করে দিয়েছে। আমি আগামীতে তার সকল কাজে সার্বিক সহয়তা করব।
ডাঃ নোমান এর এমন কার্যক্রমে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়, খুশি পাবনার প্রতিটি সচেতন মহল। তারা এই তরুন সমাজকর্মী উত্তরোত্তর সাফল্য এবং আরো সহয়তার হাত দেখতে চান।
Leave a Reply