“মাটি খাদ্যের সুচনা যেখানে” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পাবনায় বিশ^ মৃত্তিকা দিবস ২০২২ উৎযাপিত হয়েছে। সোমবার সকালে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনিস্টিটিউট পাবনার আয়োজনে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মাটি হলো মা, যেমন মা ভালো থাকলে সন্তান ভালো হয় তেমনী মাটি ভালো থাকলে ফসল ভালো হয়।বাংলাদেশে উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও, কৃষি জমি অর্ধেকে নেমে এসেছে। মাটির কাছ থেকে আমরা অনেক নিচ্ছি কিন্তু মাটি ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি না। আমরা প্রতিনিয়ত মাটি নষ্ট করছি। মাটি চাষ উপযোগী করতে সময় লাগে ৫শ থেকে এক হাজার বৎসর। মাটি ভালো রাখতে অতিরিক্ত সার ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। মাটি ট্রেষ্ট করে কৃষকদের পরামর্শ দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের খনিজ সম্পদের অভাব তাই মাটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। মাটি যাতে নষ্ঠ না হয় সে ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ভুমি ব্যবহার করতে হবে।
সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক বিশ^াস রাসেল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সহকারী কমিশনার ফারিস্তা করিম এর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি ড. সাইফুল আলম, জেলা মৎস কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মামুন আল আহসান চৌধুরী, উর্ধŸতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আরিফুল ইসলাম পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, বাসস ও ভোরের কাগজ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, জেলা তথ্য কর্মকর্তা সামিউল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোসাররাত জাহান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক মোশারেফ হোসেন, জেলা জনশক্তি বিষয়ক কর্মকর্তা আখলাক উজ জামান, কৃষক ফজলুল হক প্রমূখ।
মুল প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মামুন আল আহসান চেšধুরী, ডকোমেন্টরী প্রদর্শন করেন উধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম।
Leave a Reply