শনিবার, ২৭ মে ২০২৩, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
অফিস অটোমেশন সিষ্টেমের উদ্বোধন, কাগজবিহীন অফিস হতে চলেছে পাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পাবিপ্রবিতে আলোচনা সভা পাবিপ্রবিতে প্রথমবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার সকল আয়োজন সম্পন্ন আন-নাসর রমাদান কুইজ ও কর্জে হাসানা কার্যক্রম শুরু পাবনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নতুন বর্ষবরণ রূপপুর প্রকল্পের গাড়ি চালক সম্রাট হত্যা মামলার মূলহোতা মমিন গ্রেফতার নিখোঁজের দুইদিন পর রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার বাউয়েট এ, “সরকারী খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রম” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত নিখোঁজের দুইদিন পর যমুনা নদী থেকে কিশোরের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার চরতারাপুরে বালু মহলে পুলিশের ওপর চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলা, সরঞ্জাম জব্দ

অসহায় পরিবারের পাশে পাবনার পুলিশ সুপার

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • প্রকাশিত বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২
Pabnamail24

সড়ক দুর্ঘটনায় একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিল পরিবারটি। মানবেতর জীবন-যাপন করা পরিবারটির‌‌ পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে একটি নতুন অটোরিকশা এবং নগদ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) পাবনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে অটোরিকশা এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকা তুলে দেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), লিমনের স্ত্রী আফসানা বেগম,বোন নাজমুস সাবা খুশবু, মা জীবন নাহার বেগমসড় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে হেমায়েতপুর এলাকায় বের হন লিমন। রাত ১টার দিকে শাহদিয়ার নামক স্থানে খড়ি বোঝাই একটি ট্রলি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চালক শাহেদ আল মাহমুদ লিমনের (২৫) নিহত হোন। লিমন ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি। বাবা প্যারালাইসিস রোগী সেই সাথে ২ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে লিমনের পরিবার তার স্ত্রী এবং মা চরম দূর্দশাগ্রস্ত জীবন যাপন করছেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে তার পরিবার খুবই অসচ্ছল।

বিষয়টি পুলিশ সুপারের নজরে আসলে তিনি মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এবং তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও উদ্যোগে লিমনের পরিবারের সদস্যদের মাঝে একটি অটোরিকশা এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকা হস্তান্তর করেন। এছাড়াও দুর্ঘটনায় পতিত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত সিএনজি মেরামতের জন্য পুলিশ সুপার আশ্বাস প্রদান করেন। যাতে করে সিএনজি ও অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে লিমনের পরিবার সচ্ছলভাবে চলতে পারে।

পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিমনের স্ত্রী আফসানা বেগম বলেন, আমার শশুর-শাশুড়ি ও আমার ২ বছরের অসহায় মেয়ের দিকে তাকিয়ে স্যার (পুলিশ সুপার) যে উপকার আমাদের করলেন তা কোনো দিন ভুলবো না। আমরা দোয়া করি- স্যার যেন এভাবে আরও অনেক অসহায় পরিবারের পাশে থাকতে পারেন। আল্লাহ যেন স্যারকে অসহায় মানুষের পাশে থাকার তৌফিক দান করেন। সুস্থ হায়াত দান করেন।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, যে চলে গেছেন তাকে তো আর ফিরানো সম্ভব নয় কিন্তু তার চলে যাওয়াতে যে পরিবারটি খুবই অসহায় পর্যায়ে রয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আমরা দেখলাম পরিবারটি খুবই অসহায় পর্যায়ে রয়েছে। লিমনই একমাত্র উপার্জন সক্ষম ব্যক্তি ছিল। সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। যাতে অসহায় বাবা-মা ও তার স্ত্রী-সন্তান অন্তত দুমুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে।

শেয়ার করুন

বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!