পাবনায় জেলা আওয়ামীলীগের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হট্টগোল ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে শহরের বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে জাতীয় সংসদের নবনিযুক্ত ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। সংবর্ধনাস্থলে অতংক ছড়িয়ে পড়লে উপস্তিত লোকজন এদিক সেদি ছুটাছুটির সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে উপস্থিত আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু ডেপুটি স্পিকার নিযুক্ত হওয়ায় পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বেলা ১২ টার দিকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু সঞ্চলনায় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতারা বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে নবনিযুক্ত ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর বক্তব্য শুরুর কয়েক মিনিট পূর্বে মঞ্চে নেতাদের পেছনে দাঁড়ানো নিয়ে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সিনিয়র নেতারা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে দুই পক্ষই একে অপরকে চেয়ার ছুড়া শুরু করে। শুরু হয় চরম হট্টগোল। পরে সিনিয়র নেতাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এর কয়েক মিনিট পর সংবর্ধনা স্থলে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও একই পরিস্থিতিতে রুপ নেয়। এ সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশাররফ হোসেনসহ কয়েকজন নেতা তাদের থামানোর চেষ্টা করে। এছাড়াও মাইকে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলেও দুই গ্রুপ চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হট্টগোল করতে থাকে।
এরই এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানে দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, নেতাদের পেছনে দাঁড়ানো নিয়ে ধাক্কাধাক্কিকে কেন্দ্র করে একে অপরকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়েছে। আমরা তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। এটা তেমন কিছুই না। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন হয়েছিল।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামজুয়েল বলেন, ওই অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের পেছনে দাঁড়ানো ও শ্লোগান নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। পরে নেতারাই তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। আর বিষয়টি তেমন কিছু নয়।
Leave a Reply