মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
অফিস অটোমেশন সিষ্টেমের উদ্বোধন, কাগজবিহীন অফিস হতে চলেছে পাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পাবিপ্রবিতে আলোচনা সভা পাবিপ্রবিতে প্রথমবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার সকল আয়োজন সম্পন্ন আন-নাসর রমাদান কুইজ ও কর্জে হাসানা কার্যক্রম শুরু পাবনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নতুন বর্ষবরণ রূপপুর প্রকল্পের গাড়ি চালক সম্রাট হত্যা মামলার মূলহোতা মমিন গ্রেফতার নিখোঁজের দুইদিন পর রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার বাউয়েট এ, “সরকারী খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রম” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত নিখোঁজের দুইদিন পর যমুনা নদী থেকে কিশোরের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার চরতারাপুরে বালু মহলে পুলিশের ওপর চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলা, সরঞ্জাম জব্দ

পাবনায় হত্যা মামলায় ২২ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • প্রকাশিত Monday, 19 September, 2022
Pabnamail24

পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় আলাউদ্দিন ওরফে আলাল নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।

নিহত আলাউদ্দিন ওরফে আলাল পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে। পেশায় তিনি বালু ব্যবসায়ী ছিলেন।

আর দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সুজানগর উপজেলার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর হাসান, ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল গণি শেখের ছেলে কালাম শেখ, সদর উপজেলার ভাঁড়ারার আওরঙ্গবাদ এলাকার আকবর শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার বাহিরচরের আবুল কাশেমের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর হাসান এবং রবিউল ইসলাম রবি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০০০ সালের ৩ আগস্ট সাজাপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হাসান আলাউদ্দিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এর তিনদিন পর পদ্মা নদী থেকে আলাউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত আলাউদ্দিনের চাচা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। ১২ জনের সাক্ষ্য ও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত সোমবার এই রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সুমন।

মামলার রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, রাষ্টপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধুমাত্র অভিযোগপত্রের ওপর ভিত্তি করে আদালত এই রায় দিয়েছেন। ফলে আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি সেখানে ন্যায় বিচার পাব।

শেয়ার করুন

বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!