পাবনার হেমায়েতপুরে আওয়ামীলীগ নেতা সাইদার রহমান মালিথা (৫০) কে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। নিহত সাইদার রহমান পাবনা পৌর আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। শুক্রবার দুপুর সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া মুজিব বাঁধ এলাকায় এ হত্যাকান্ড ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, দুপুর দেড়টার দিকে সাইদার বাঙ্গাবাড়িয়া বাজারে বাঁধের একটি দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় মোটর সাইকেল যোগে একদল সন্ত্রাসী হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এসে তাঁকে ঘিরে ধরে। এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি ছুরতে থাকে। এতে ঘটনাস্থালেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
নিহতের নাতি সাদ্দাম মোল্লা জানান, সাইদার দাদা দুপুরে ফোন করে আমাকে আসতে বলেন, বাজারে কথা শেষে নামাজ পড়ার জন্য বাড়ির দিকে রওনা হওয়ার দশ মিনিট পরই শুনতে পাই তাকে কারা যেন হত্যা করেছেন।
নিহতের স্ত্রী দিলরুবা জাহান কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সাইদার রহমানের সাথে হেমায়েতপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথার জমি জমা নিয়ে বিরোধ ছিলো। কয়েকদিন ধরে আলাউদ্দিন সাইদার মালিথাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিলেন। গতকালও আলাউদ্দিন সাইদারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আজ প্রকাশ্যে তাকে মেরে ফেললো। আমি নাবালক তিন সন্তান নিয়ে কি করবো। যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে তাদের আমি শাস্তি চাই বলেই চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন তিনি।
হেমায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শরিকানা জমি নিয়ে আলাউদ্দিন ও সাইদার রহমানের বংশের লোকেদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এরই জেরে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার মারামারি হয়েছে। আজকের ঘটনাও সেই বিরোধের জের বলেই শুনেছি। তবে ওই এলাকায় বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের একটি সোলার প্লান্টের জমি কেনা নিয়েও তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
Leave a Reply