পাবনা সদর উপজেলার মাধপুরে ডা: ইসমাইল হোসেন মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শুকুরুন নেছা নামে একটি পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক মাকিদ হায়দার। পরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পাবনার তৎকালীন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ডা: ঈসমাইল হোসেন এর পরিবার ১৯৩০ সালে সেই সময়ের দুর্গম এলাকা মাধপুরে এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ডা: ঈসমাইল হোসেনের পরিবার অন্যান্যের সহযোগিতায় বর্তমানে ঐ এলাকার অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে উঠেছে। বর্তমানে চারতলা ভবনের এ স্কুলে ৪ শত ৫৬ জন ছাত্রী পড়াশুনা করছে। তবে প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠে আধুনিক ভবন থাকলেও ভালো কোন পাঠাগার ছিলো না। ঈসমাইল হোসেন এর পরিবারের সহযোগিতায় এবার এই স্কুলে গড়ে তোলা হলো একটি আধুনিক পাঠাগার। ঈসমাইল হোসেনের ভাবি শুকুরুন নেছার নামে এই লাইব্রেরীটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে মারুফা মাসরুক নীরা জানান, তার দাদী শুকুরুন নেছা তৎকালীন ব্রিটিশ আমলে লেডি ব্রাবন কলেজ থেকে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে এসে এই মাধপুর এলাকায় নারী শিক্ষার প্রসারে মাধপুর বালিকা বিদ্যালয় নামে নারী শিক্ষার জন্য একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।যেটি আজকের ডা: ঈসমাইল হোসেন মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুকুরুন নেছার স্মৃতি ধরে রাখতে তার নামে আমাদের পরিবারের সহযোগিতায় এই লাইব্রেরী গড়ে তোলা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম জানান, তাদের পরিবারের সহযোগিতায় লাইব্রেরীতে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী সহ বিভিন্ন লেখকের প্রায় ১ হাজার বই দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে ছাত্রীরা জ্ঞান আহরোণ করতে পারবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাহিত্যিক মাকিদ হায়দার। বক্তব্য কালে তিনি বলেন, বই জ্ঞানের প্রতীক, বই পড়া ছাড়া প্রকৃত জ্ঞান আহরোণ করা সম্ভব না। এই লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার মাধম্যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশী বইপড়া অনেক সুযোগ পাবে।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও দাপুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম সাজেদুল ইসলাম নিলু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, আলহাজ¦ সাইদুজ্জামান, মোছা: মারুফা মাসরুক নীরা, মাজেদা খাতুন, ববি সরদার, মনিরুল আহসান, প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামসহ আরো অনেকেই।
Leave a Reply