পাবনায় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৭ তম আর্বিভাব তিথি মহোৎসব পালিত হয়েছে। সৎসঙ্গ বাংলাদেশের আয়োজনে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে হিমাইতপুর বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের শুভ জন্মলগ্ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করা হয়।
জন্মোৎসবে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার অনূকূল ভক্তের অংশ গ্রহণে, প্রার্থনা সভা, গঙ্গা স্নান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ সৎসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা ও পূণ্যার্থীদের এ মহাপুরুষের ১৩৭ তম আর্বিভাব দিবস পালন করেন ভক্তরা।
প্রার্থনা সভায় বক্তব্য দেন, সৎসঙ্গের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. সুব্রত রায়, সৎসঙ্গ বাংলাদেশের সম্পাদক শ্রী ধৃতব্রত আদিত্য, সাংগঠনিক সম্পাদক নিখিল মজুমদার।
সৎসঙ্গ বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক নিখিল মজুমদার জানান, আমরা বিশ্ববাসীর জন্য প্রার্থনা রেখেছি যেন বিশ্বের মানুষ সুখে থাকে শান্তিতে থাকে ও পরম আনন্দ থাকে। তিনি জানান, ১৮৮৮ সালে পাবনায় জন্ম নেয়া ঠাকুর অনূকূল চন্দ্র্র সাম্য ও অসাম্প্রদায়িকতার বাণী দিয়ে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের মন জয় করেন। ভক্তদের হৃদয়ের এই মহাপুরুষের জন্মস্থান পাবনার হেমায়েতপুরে হওয়ায় প্রতি বছর ঠাকুরের আবির্ভাব ও মৃত্যু দিবস সাড়ম্বরে পালন করেন সৎসঙ্গের সদস্যরা।
তিনি আরো বলেন, অনুষ্ঠানের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে পাবনা শহরের পাথরতলায় শ্রী শ্রী ঠাকুরবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় সৎসঙ্গ বাংলাদেশের ২৫১ তম শরৎকালীন ঋত্বিক অধিবেশন। মহাপ্রসাদ বিতরণ, শ্রী শ্রী ঠাকুরের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঠাকুরের দিব্য জীবন বাণী নিয়ে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় সান্ধ্যকালীন সমবেত বিনতি প্রার্থণা, বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ ও সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।