পাবনার ঈশ্বরদীতে তিন বন্ধুর জীবদ্দশায় বন্ধুত্ব থাকলেও এক সড়ক দূর্ঘটনায় তিন বন্ধুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গত সোমবার সকালে এক দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মিতুল হোসেন (১৫), পরদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সিয়াম সরদার (১৫), বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিশালেরও মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সুপারেন্টেন্ডরফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত তিন ছাত্র আমার প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেনীল শিক্ষাথী ছিল। তারা তিনজন খুবই ভালো বন্ধু ছিল, একই সাথে চলা-ফেরা থেকে শুরু করে সবই তারা তিনজন এক সাথে করতো। এভাবে এক সাথে চলে যাবে আমরা ভাবতেই পারছি না।
নিহত বিশাল হোসেন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি গ্রামের বাচ্চু হোসেনের ছেলে, সিয়াম হোসেন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের শিহাব সরদারের ছেলে এবং মিতুল উপজেলার আথাইল শিমুল গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, গত সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে ঈশ^রদী সরকারি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে ১০ম শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুরে একটি করিমন মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মিতুল হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। সিয়াম সরদার ও বিশাল হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন সোমবার রাত ১২টার দিকে সিয়াম সরদার মারা যায় এবং মঙ্গলবার রাত ২ টার দিকে বিশালও মারা যান।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার বলেন, একে একে তিন স্কুল বন্ধুর মৃত্যু সত্যিই খুবই মর্মান্তিক বিষয়। আমরা পুরো এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে নির্বাক।