পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের সমাজ বাজারপাড়া এলাকায় গুমানী নদীর ক্যানেল থেকে পুলিশ শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত ব্যক্তি হলো নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে পলাশ হোসেন (৪০)। ধারণা করা হচ্ছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সে প্রায় ৩ বছর ধরে চাটমোহর উপজেলার সমাজ মিয়াপাড়া গ্রামের আঃ মুতালিবের মেয়ে মৌসুমী খাতুনকে বিয়ে ঘরে সমাজ গ্রামেই বসবাস করছে। সমাজ বাজারে ওয়াজ মওলানার বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে সে ভাড়া থাকতো। পরাশ ড্রাইভার নামে সে এলাকায় পরিচিত। এঘটনায় পুলিশ এক নারীকে আটক করেছে। সে চিহ্নিত কলগার্ল বলে জানায় পুলিশ। আটককৃত হলো উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের খতবাড়ি গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমানের স্ত্রী রোজিনা খাতুন (২৫)।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,নিহত পলাশসহ কয়েকজন আটককৃত রোজিনাকে নিয়ে সমাজ বাজারে আসে। রোজিনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। এক পর্যায়ে সমাজ বাজারের লোকজন হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ এসে রাত ৮টার দিকে রোজিনাকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
এ সময় সবাই সটকে পড়ে। গতকাল দুপুরে সমাজ বাজারের পাশে গুমানী নদীর ক্যানেলে সুজনের দহে মাটি চাপা দেওয়া পলাশের মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে সকালে চাটমোহর থানা থেকে রোজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু লাশ উদ্ধারের সাথে সাথে তাকে আবারো আটক করা হয়। নিহতের শ^শুর আঃ মুতালেব জানান,প্রায় ৩ বছর আগে পলাশ তার মেয়েকে বিয়ে করে। তার মেয়ে পলাশের ২য় স্ত্রী। পলাশও তার মেয়ের ২য় স্বামী।
বিয়ের পর সমাজেই থাকতো এবং মিনি ট্রাক ও ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালাতো। কী কারণে,তারা তাকে হত্যা করেছে,তা তিানি জানেন না।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পলাশকে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য কাটা দাগ রয়েছে। কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে ও আটক রোজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু ক্লু মিলেছে। দ্রুতই অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply