পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে একটি রাস্কা নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৯ জুন) চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল হামিদ মাস্টার সরেজমিন রাস্তাটি পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা দেখতে পান। এ সময় তিনি ঠিকাদারের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এলাকাবাসী ও হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের উপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদ মাস্টার নির্মাণ করা এইচবিবি রাস্তার বিভিন্ন স্থানের ইট তুলে দেখেন কোথাও সিডিউল মোতাবেক রাস্তার কাজ করা হয়নি। সলিংয়ের নিচে কোন বালু দেওয়া হয়নি। এজিনসহ রাস্তায় যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে, তা নি¤œমানের। পরিমাণ মতো বালু কোথাও দেওয়া হয়নি। এসময় স্থানীয় দু’জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, এডিবি’র অর্থায়নে এলজিইডি’র ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হরিপুর ইউনিয়নের জেলেপাড়া বটতলা থেকে আকবর আলীর বাড়ি অভিমুখে এইচবিবি রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। রাস্তা নির্মাণে অতি নি¤œমানের কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাস্টার সরেজমিন রাস্তাটি পরিদর্শনকালে সিরাজুল ইসলাম, সুরুজ আলী, আব্দুল মমিনসহ গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, রাস্তার কাজ চলাকালে তারা ঠিকাদারের লোকজনকে বারবার পরিমাণ মতো বালু, ভালো ইট ব্যবহার করাসহ সঠিকভাবে কাজ করার কথা বলা হয়। কিন্তু তাদের কোন কথাই ঠিকাদারের লোকজন শোনেননি। তারা ইচ্ছেমতো যেনতেনভাবে কাজ সম্পন্ন করেছে।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আবব্দুল হামিদ মাস্টার গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, এ ব্যাপারে আগেই সবার সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান নি¤œমানের কাজের জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ^াস দেন। তিনি বলেন, জনগণের টাকার সদ্ব্যবহার করতে হবে। কেউ অনিয়ম করে পার পাবে না।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মকবুল হোসেন জানান, কাজ চলাকালে গ্রামের কেউ আমাকে কিছুই জানাননি। ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোক জানিয়েছিল সঠিকভাবে ভাল কাজ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাণকাজের ঠিকাদার পাবনার মেসার্স মাহির কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত¡াধিকারী শরিফুল ইসলাম রতন বলেন, সিডিউল মোতাবেক এক নাম্বার ইট দিয়ে কাজ করা হয়েছে। সলিংয়ের নিচে যেখানে বালু প্রয়োজন সেখানে দেয়া হয়েছে। যেখানে মাটি সমান সেখানে দেয়া হয়নি। চেষ্টা করেছি ভালভাবে কাজ করার।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিটি কাজের সঠিকতা যাচাই করা হবে। কাজ ভাল না হলে ইট তুলে পুনরায় ঠিকাদারকে কাজ করতে হবে। তা নাহলে বিল দেওয়া সম্ভব নয়।
Leave a Reply