পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বিদায়ী উপাচার্য এম রোস্তম আলীর দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তের দাবিতে তার শেষ কর্মদিবসেও ধিক্কার কর্মসূচী পালন করেছন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মসূচীর মধ্যে ঝাড়– মিছিল, থুতু ও জুতা নিক্ষেপ করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, সেশনজট ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান তলানিতে ঠেকেছে। এছাড়াও ভিসির স্বজনপ্রীতি ও প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শৃংখলাও নষ্ট হয়েছে। এমনকি মেয়াদের শেষ সময়ে এসেও তিনি একটি চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে ওঠেন।
তারা আরো জানান, রবিবার ভিসি এম রোস্তম আলীর মেয়াদ শেষ। অথচ বিদায়ের শেষ মহুূর্তে এসেও তিনি অবৈধভাবে তার ভাতিজি কানিজ ফাতেমা, ভাগিনা হাসিবুর রহমান, ভাইয়ের ভায়রার ছেলে মীর রমজান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওলিউল্লাহসহ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনসহ ১০২ জনকে গণনিয়োগ দিয়েছেন।
অবৈধভাবে দেয়া গণনিয়োগ বাতিল করে তদন্ত সাপেক্ষে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীও করেন তারা।
এ ছাড়াও উন্নয়ন প্রকল্পের কমিশন, ভুয়া ভাউচার করে টাকা লুট এবং বই কেনার নামে টাকা লুটসহ রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ তদন্তের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবী তদন্ত করলে ভিসিপন্থি কয়েকজন শিক্ষক পরিবহন প্রশাসক কামরুজ্জামান, ডীন সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর হাসিবুর রহমান নাম উঠে আসবে। ভিসির শেষ দিনে ভিসিপন্থি এসব শিক্ষকরা ক্যম্পাসে উপস্থিত না থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ ভিসির মেয়াদ শেষ হওয়া এবং ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম এবং ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ট্রেজারার অধ্যাপক আনোয়ার খসরু পারভেজের মেয়াদ শেষ হয়। ফলে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) অভিভাবক শূণ্য হলো।
Leave a Reply