নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে আব্দুল হামিদ রোডে ভিসির নিয়োগ বাণিজ্য ও নানা অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অনিয়ম, অস্বচ্ছতা ও যোগসাজশ করে প্রায় চূড়ান্ত করা ১০২ জনের গণনিয়োগ বন্ধের দাবিও জানিয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী বিপুল, আইরিন, আল আমিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উপাচার্যের মেয়াদ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। তিনি মেয়াদকালের শেষ পর্যায়ে নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করে যাচ্ছেন। নিজের খেয়াল-খুশি মতো ইচ্ছে মাফিক অনিয়ম ও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অযোগ্য, অদক্ষ্য জনবল নিয়োগ, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করছেন। এই সকল ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগের তদন্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধারের দাবি জানান তারা। একই সাথে গণনিয়োগ বন্ধসহ তার অনিয়ম, দূর্নীতি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানান।
এ ব্যাপারে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম প্রফেসর রোস্তম আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কাজ করা হয়নি। যারা অভিযোগ করছেন তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পারেননি, তাই মনগড়া অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছেন। একটি মহল শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে ১০১টি দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত দাবি করে এককভাবে প্রতীকী অনশন করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. এম আবদুল আলীম। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে ইউজিসি ও তদন্ত কমিটি। অজ্ঞাত কারণে বারবার বড়বড় অনিয়ম ও দূর্নীতি করেও তিনি বহাল তবিয়তে প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক একাধিক সূত্র দাবী করেছে।
Leave a Reply