শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন

কলেজের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ৩০

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

পাবনার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটি নিয়ে দ্বন্দে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন। এ সময় উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা, অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচীব মনোয়ার হোসেন আলমের নিজস্ব কার্যালয় ভেঙ্গে দিয়েছে জমায়াতের কর্মীরা।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুজ্জামান সরকার জানায়, দেবোত্তর ডিগ্রী কলেজের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র জামায়াতের লোকজন বিএনপির লোকজনের উপর প্রথমে মারপিট করে। এ নিয়ে শুরু হয় বড় ধরনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আাহত হয়েছে। আহতেদের আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা এসে দুই পক্ষকে শান্ত করি, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের জেলা কমিটির সহ সভপতি ও উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আমিরুল ইসলাম জানান, বিএনপির লোকজনের কথা মতো মনোনয়ণ পত্র দেয় না কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে বিএনপির লোকজন অভিভাবক ও জামায়াত নেতাদের কলেজের ভেতরেই মারপিট করে। এরই প্রতিবাদে অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার প্রস্তুুতি নিচ্ছিল, এময় আছরের আযান হওয়ায় মসজিদে নামাজ পড়তে যান তারা, বিএনপির লোকজন মসজিদকে লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছুড়লে মুসুল্লীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদে মিছিল করেন। এসময় তারা আবার তারা হামলা চালায়। পরে মুসুল্লীরা বিএনপির সদস্য সচীব আলমের কার্যালয় ভাংচুর করেন। আমাদের ২০/২৫ জন আহত হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচীব মনোয়ার হোসেন আলম জানান, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বিএনপিকে ধংস করতেই সংঘবদ্ধভাবে জামায়াতের লোকজন আমাদের উপর হামলা করেছে। আমাদেও ১৫ জনের মতো লোকজন আহত হয়েছে। তারা আমার বিএনপি অফিস ভাংচুর করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। তবে মসজিদে গুলি ও ককটেল নিক্ষেপের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..