করোনার নতুন ধরন দ্রুত ছড়ায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। এতে সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি পারে। তবে তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা জানান তিনি। সে সময় তিনি করোনার চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করতে মাস্ক পরার কোনও বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলায় লকডাউনের মতো পদক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না। তবে বেপরোয়াভাবে চলাচল বা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করাও যাবে না। সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস চর্চা করতে হবে। সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখাসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনার নতুন ধরন যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত করোনার টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে নাকে নেওয়ার ওষুধের ট্রায়াল শিগগিরই দেশে শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ ও সুইডেনের যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হবে। এই টিকা করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই প্রায় শতভাগ কার্যকর হবে এবং এটি মানুষকে অনেক বেশি সুরক্ষা দেবে।
তিনি জানান, শিগগির ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টিও সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভিমত অনুযায়ী ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।
Leave a Reply