মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি ও বধ্যভূমি সংরক্ষণে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পাবনার গোপালপুরে গণকবর সংস্কার করেছে স্মরণে ৭১ প্রজন্ম। শনিবার সকালে গণকবরে সংস্কার কাজ শেষে শহীদদের নাম সম্বলিত ফলক যুক্ত করেন সংগঠনের সদস্যরা।
স্মরণে ৭১ প্রজন্মের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়ক তোফাজ্জল হোসেন মামুন জানান, ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল পাবনার পৌর এলাকার গোপালপুর এলাকার কয়েকটি বাড়ি থেকে ১২ জন মুক্তিকামী মানুষকে ধরে এনে ব্রাশ ফায়ার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এ সময় ১০ জন শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ হয়েও বেঁচে যান দুজন। পরে শহীদ হওয়া ৮ জনের মৃতদেহ গোপালপুরে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা বাদলের বাড়ির পাশে গর্ত খুঁড়ে গণকবর দেয়। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও গণকবরটি পরে ছিলো অযত্ন অবহেলায়। স্মরণে ৭১ প্রজন্মের সভাপতি হাসান জাহিদ কমলের উদ্যোগে গণকবরটি সংস্কার করে, সেখানে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের নাম সম্বলিত ফলক সংযোজন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম সেদিনের ভয়াল ঘটনা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে জানতে পারবে।
পরে, স্মরণে ৭১ প্রজন্মের সদস্যরা গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত শামসুল আলমের সাথে কথা বলে গণহত্যার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করেন। এ সময় তিনি গণকবর সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয়ায় স্মরণে ৭১ প্রজন্ম সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্মরণে ৭১ প্রজন্মের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক তোফাজ্জল হোসেন মামুন, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাসান মাহমুদ সুমন, বিপাশা, পারভীন, মহিবুলসহ সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরে পাবনা জেলায় বিভিন্ন স্থানে মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার তথ্য সংগ্রহ, গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণে কাজ করছে স্মরণে ৭১ প্রজন্ম । নিজ উদ্যোগের পাশাপাশি, সরকারিভাবে গণকবর ও বধ্যভূমিতে শহীদদের নামের তালিকা সংযোজনের দাবি জানিয়ে আসছে সংগঠনটি।
Leave a Reply