পাবনার পৌর আওয়ামীলীগ নেতা সাইদার মালিথা হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথার গ্রেফতার দাবিতে জেলা প্রশাসকে কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন পৌর আওয়ামীলীগের নেতারা । রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক বিশ^াস রাসেল হোসেনের নিকট স্মারকলিপি তুলে দেন পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট তসলিম হাসান সুমন ও সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মামুনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা । এ সময় তারা বলেন, সাইদার মালিথা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা। তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হত্যা কান্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে এবং আলাউদ্দিন মালিথা হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বলে নিশ্চিত করেছে। এরপরেও, ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পেরোলেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে আলাউদ্দিন মালিথার গ্রেফতারে জেলা প্রশাসকের সহায়তা কামনা করেন পৌর আওয়ামীলীগ নেতারা। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস প্রদান করেন।
এদিকে, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. শামসুল হক টুকুর সাথে সাক্ষাৎ করে নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করেছেন সাইদার হোসেনের পরিবার। রবিবার সকালে ডেপুটি স্পিকারের পাবনা শহরের বাস ভবনে দেখা করেন তারা। এসময় সাইদারের স্ত্রী, ৩ সন্তান এবং আত্নীয় স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, সাইদার আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত এবং ত্যাগী নেতা ছিলেন। তার হত্যার খবরে আমি কষ্ঠ পেয়েছি। তার হত্যান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আসতেই হবে। আমি প্রশাসনকে বলব দ্রুত এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার।
গত ০৯ সেপ্টেম্বর জুম্মার নামাজের কয়েক মিনিট আগে সদর উপজেলার চর বাঙ্গাবাড়িয়া নজুর মোড়ের চায়ের দোকানে সায়দার রহমানকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। হত্যাকান্ডের জন্য আলাউদ্দিন মালিথাকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন মালিথার ভাতিজা স্বপনসহ ছয় আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Leave a Reply