রেলওয়ে ব্যবস্থাকে আধুনিক যুগপোযোগী করতে এবং যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতাধীন ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানা (লোকোসেড) পরিদর্শন করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার।
শুক্রবার পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতাধীন ঈশ্বরদী লোকোসেড লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শন করেন। পরে পাকশী বিভাগীয় কার্য্যলয়ের দিকে রওয়ানা হয়েছেন। সেখানে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
তার আগে সকালে রাজশাহী থেকে আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছালে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান পরিবহণ কর্মকর্তা, শহিদুল ইসলাম, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম, পাকশী বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা, আনোয়ার হোসেন, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী -২ আব্দুর রহিম, পাকশী বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রীয় প্রকৌশলী (লোকো) আশীষ কুমার মণ্ডল প্রমুখ।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, রেলওয়েতে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে। এছাড়া ভ্রমনপ্রিয় ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তি ছাড়া স্বাচ্ছন্দ্যে যেন ট্রেনভ্রমন করতে পারে। তারই ধারাবাহিতায় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রতিটি দফতরের কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী লোকোসেড, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্টে রেলওয়ের উন্নয়নের চলমান কিছু কাজ চলছে। বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পের কাগজগুলো যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, তাহলে ট্রেন চলাচলে ভোগান্তি কমে আসবে। ভ্রমনপ্রিয় যাত্রীদের ট্রেন ভ্রমনে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য আসবে। এছাড়া কোথাও কোন ক্রটি আছে কিনা,সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা? বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply