পাবনা চিনিকলের লেগুনা থেকে বিপুল পরিমাণ মাছ লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনদিন ধরে এই লুটের ঘটনা ঘটে। উপজেলার ভাড়ইমারী আনন্দবাজার নালামুখে ৪৫ বিঘার এই লেগুনাটি পাবনা চিনিকলের জন্য নির্ধারিত। বৃহস্পতি, শনি ও গতকাল রোববার ভোরে দুর্বৃত্তরা একাধিকবার এই লেগুনায় হানা দিয়ে ভ্যান বোঝাই করে মাছ লুটে নিয়ে যায়।
তবে পাবনা চিনিকল কর্তৃপক্ষের দাবি, যেহেতু কারখানার টাকায় লেগুনায় কোনো মাছচাষ করা হয়নি। সেহেতু ‘মাছ চুরি’র বিষয়ে তাদের কিছুই করণীয় নেই। এমনকি পুলিশকে জানানোর প্রয়োজনও বোধ করছে না চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পাবনা চিনিকল ওয়ার্কস ইউনিয়নে একজন নেতা ও কয়েকজন শ্রমিক জানান, তিনদিন ভোরবেলায় একটি চক্র লেগুনা থেকে মাছ লুট করে। এরা সংখ্যায় ১২-১৩ জন ছিল। রাতের কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা লেগুনায় বিষ ছিটিয়ে রাখে। ভোরে সেহেরির পর তারা লেগুনায় জাল ফেলে বিপুল পরিমাণ মাছ লুট করে নিয়ে যায়। লেগুনায় ২ থেকে ৩ কেজি ওজনের মাছ ছিল। দুর্বৃত্তরা মাছ লুটেরর পর লেগুনায় সামন তিনদিনই গাড়ি বোঝাই করে অন্যত্র নিয়ে যায়। ভাড়ইমারী গ্রামের একজন বাসিন্দা জানান, ২০-২৫ দিন আগেও দুর্বৃত্তরা এই লেগুনায় মাছ লুট করতে এলে পুলিশের তারা খেয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীর ধারনা প্রভাবশালী প্রশ্রয়ে থাকা ওই দুর্বত্তদের সম্পর্কে পুলিশ খোঁজখবর নিলে ওদের পরিচয় পেয়ে যাবে।
পাবনা চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: সাইফুদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, চিনিকলের নিজস্ব লেগুনা থেকে ‘মাছ চুরি’ হওয়ার ঘটনাটি তিনি গতকাল রোববার সকালে প্রথম শুনেছেন। কিন্ত করার কিছুই নেই। কারণ লেগুনায় মাছচাষে তাদের কোনো অর্থ বিনিয়োগ হয়নি। ফলে এনিয়ে তাদের কোনো ‘ইন্টারেস্ট’ নেই। পুলিশকেও জানানো হয়নি বিষয়টি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, চুরি বা যে কোন ঘটনা অবশ্যই পুলিশকে জানানো উচিত। পাবনা চিনিকল কর্তৃপক্ষ যদি বিষয়টি লিখিতভাবে জানায় তবে অবশ্যই তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply