পাবনার ঈশ্বরদীতে মামুন হোসেন (২৪) নামের এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, পৌরসভার কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন ও হৃদয় হোসেন।
মামলায় পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন ও তার ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে শৈলপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একদল সদস্য কামাল উদ্দিন ও হৃদয় হোসেনকে আটক করে নিয়ে গেছেন। ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম লিটন বলেন, কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। কিন্তু তার ভাই আনোয়ার হোসেন যুবলীগের পরিচয় ব্যবহার করলেও কোনো কমিটির পদ-পদবি নেই।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারিপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি (শ্যালো মেশিনচালিত) ও লেগুনার সংঘর্ষে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। লেগুনার চালক ভটভটির গতিরোধ করে চালকের কাছে গ্লাস ভাঙার জরিমানা দাবি করেন। এসময় কাচারীপাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা মামুন (২৫), রকি (২৬) ও সুমনের সঙ্গে চালকের বাকবিতণ্ডা হয়।
এ সময় রহিমপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ নুরুর ছেলে যুবলীগ সমর্থিত আনোয়ার উদ্দিন (৪০) ঘটনাস্থলে এলে মামুন, রকি, সুমনসহ ভটভটি চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে আনোয়ারের নেতৃত্বে ১১ জন ঘটনাস্থলে আসার পর মামুন, রকি, সুমনদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে রিকশাচালক মামুন হোসেন (২৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
মামুনের দুই সঙ্গী পিয়ারাখালী এলাকার শরীফ হোসেনের ছেলে রকি (২৬) ও বাবু ওরফে বরকি বাবুর ছেলে সুমন (২৫) আহত হন। গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আহত অপর দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Leave a Reply