ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া গ্রামে বিষধর গোকরা সাপের কামড়ে হুসাইন (১৩) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মশারির মধ্যে ডুকে বিষাক্ত সাপটি হুসাইনকে কাড়ম দেয়। পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে ওই এলাকা মুর্শেদ আলমের ছেলে ও মাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শেণীর ছাত্র ছিল। পদ্মানদীতে পানি বাড়ায় ডাঙ্গায় উঠে এসেছে সাপসহ বিভিন্ন বিষধর প্রাণী। প্রায়ই ঘটছে সাপের কামড়ের ঘটনা। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে মাঝদিয়াসহ সাঁড়া ইউনিয়নবাসী।
হুসাইনের বাবা মুর্শেদ আলম জানান, তার দুই ছেলে হাসান ও হুসাইন খাটের উপর মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমিয়ে ছিলো। রাত আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিষধর গোকরা সাপটি মশারির মধ্যে ডুকে হুসাইনকে কাপড় দেয়। তাদের চিৎকারে ঘরে ঢুকে সাপটি মশারির মধ্যে দেখতে পায়। মোটর সাইকেল যোগে প্রথমে ঈশ^রদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে আ্যান্টি ¯েœক ভেনম ভ্যাকসিন না থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। পরে পাবনা মেডিক্যালে নেওয়া হলে হুসাইনকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
মাজদিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষক ও সাংবাদিক মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ খান জানান, মাঝদিয়া গ্রামসহ সাঁড়া ইউনিয়নটি পদ্মানদীর তীরবর্তি। পদ্মানদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীরকুল ও তীরের ঝোপগুলো যেখানে সাপসহ বিভিন্ন প্রাণী বাস করতো সেগুলো পানিতে ডুবে গেছে। এই কারণে সাপসহ অন্যান্য প্রাণী ডাঙ্গা উঠে এসেছে। বিভিন্ন বাড়িঘরে আশ্রয় নিচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন ধরণের সাপের দেখা মিলছে। একই সঙ্গে সাপে কামড়ের সংখ্যাও বাড়ছে।
Leave a Reply