বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন

ঈশ্বরদীতে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কওে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে মনোয়ারুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যাক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মনোয়ারুল ইসলাম দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও নওদাপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালাম প্রামানিকের ছেলে।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লা বলেন, দাশুড়িয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ সুলভ মালিথার বাড়ির সামনে বসে রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন ও তার ভাই রকিবুল ইসলাম রকুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মনোয়ারুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ সুলভ মালিথা জানান, দুই সিএনজি ড্রাইভারের মধ্যেকার বিরোধ মীমাংসাকে কেন্দ্র করে ট্রাক পরিবহন শ্রমিক নেতা রকিবুল ইসলাম রকু দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লাকে মারধর করে। সেই ঘটনার জেওে সম্প্রতি বিপুল মোল্লা তার অনুসারীদের সাথে নিয়ে রকুর অফিস ভাংচুর করে। সেই ঘটনার রেশ ধরে রকু ও রিপনের নেতৃত্বে রবিবার দুপুরে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। দলীয় ফেরামে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়স্থ সিএনজি স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির এক নেতার অফিস ভাংচুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকালে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপনের বড় ভাই ও স্থানীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকুর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দাশুড়িয়া গোলচত্বর সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করে চাঁদা আদায় করতে আসেন। এ সময় চাঁদা না দেওয়া ও স্ট্যান্ড ছাড়তে রাজি না হওয়ায় দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লার সাথে ঝগড়া বিবাদ হয়। পরে বিপুল মোল্লার পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক, আনিছুর ও মান্নান নামে কয়েকজন এগিয়ে গেলে তাদের মধ্যে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বিপুল মোল্লাসহ তার অনুসারী কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লা জানান, চাঁদা না দেওয়ায় প্রথমে আমাকে ও পড়ে সিএনজির দুই চালককে মারপিট করে রকু ও তার অনুসারীরা। তবে কারা রকুর অফিস ভাংচুর করেছে আমি জানি না।

অপরদিকে মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন জানান, বিকেলে সিএনজি স্ট্যান্ডে যাত্রী উঠা নিয়ে আমার বড় ভাই রকু ও বিপুল মোল্লার অনুসারীদের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি মীমাংসার জন্য তাদের আসতে বলি, অথচ বিপুল মোল্লার লোকজন রাতে আমার ভাইয়ের অফিস ভাংচুর করে। গুলির বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি তিনি।
এ ঘটনায় বিপুল মোল্লা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান, গুলি বর্ষণ এবং একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..