পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চিকনাই নদীতে উৎসবমুখর পরিবেশে হয়ে গেলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। রং-বেরঙের বাহারি নৌকা নিয়ে বাইচালরা অংশগ্রহণ করে বাইচ প্রতিযোগিতায়। শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান। নদীর দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ নৌকা বাইচ উপভোগ করেন।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আগামীতেও এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে বলে জানালেন আয়োজকরা।
চিকনাই নদীতে সকাল থেকেই বাদ্যের তালে তালে নানা সাজে সজ্জিত হয়ে জড়ো হতে থাকে ছোট বড় বাহারি সব নৌকা। দুপুরের পর শুরু হয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। নদীর পানিতে ছলাৎ ছলাৎ শব্দে বাইচালদের বৈঠায় এগিয়ে চলে পানসি, কোশা আর ছিপ নৌকা।
আর গ্রাম বাংলার ঐতিয্যবাহি এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন নদী তীরে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার দর্শক। করতালি দিয়ে প্রতিযোগিদের উৎসাহ প্রদান করেন তারা।
নৌকা বাইচ দেখতে আসা এক দর্শনার্থী জহুরুল ইসলাম বলেন, এ আয়োজন আমাদের খুবই আনন্দ দিয়েছে। নৌকা বাইচ আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা। এটি বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিবছর আমাদেরকে এ আয়োজন করা উচিত।
আর নদীতে বিপুল দর্শকের সমাগমে নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করতে পেয়ে খুশি বাইচালরাও।
শের এ বাংলা নৌকার বাইচে অংশ নেয়া এক বাইচাল বলেন, আমরা আজকেও চ্যাম্পিয়ান হয়েছি। যেখানেই নৌকা বাইচ হয় সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করি।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখাতে প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের দাবি দর্শনার্থীদের। আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম। তিনি বলেন, সারাদিন যে নৌকা বাইচ হলো তা মানুষ আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেছে। আমি যতদিন আছি ততদিন চেষ্টা করব প্রতিবছর এটা অব্যহত রাখার।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করছেন স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজ লি:। আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথী ছিলেন স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। বাঙালির হাজার বছরের এই ঐতিহ্য সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চান আয়োজকরা। আগামী ১৫দিন ব্যাপী চলা এই প্রতিযোগিতায় পাবনা সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০টি নৌকা অংশ গ্রহন করবে বলে জানান আয়োজকরা।
Leave a Reply