পাবনার আটঘরিয়ার গোপালপুরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঘোষ বংশের গিরি ঘোষের ইন্দারা (কুয়া)। কত যুগ আগের এ কূয়া সে হিসেব জানা না গেলেও রয়েছে কিছুটা সুস্পষ্ট ধারণা।
রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মমিন রচিত “অতিতান্ত বর্তমান গোপালপুর ও এর সংস্কৃতি” (২০১২) থেকে জানা যায়, গোপাল এ গ্রামে প্রথম জমিদারি করেন। তার মৃত্যুর পর জমিদারি করেন গিরি ঘোষ, হিম ঘোষ, শসধর ঘোষ, পূর্ণবৈরাগী সহ অনেকেই।এদের মধ্যে গিরি ঘোষ অনেকদিন যাবৎ জমিদারি করেন। তার জমিদারির সময়ে একটি কুপ নির্মাণ করেন, এটিই বর্তমানে ইন্দারা (গিরি ঘোষের ইন্দারা) নামে পরিচিত ।
কথিত আছে, এ কুয়া থেকে গিরি ঘোষ এবং তার পরিবারের সকলে গোসল করতেন এবং পানির প্রয়োজন মিটাতেন।
গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছন দিকে গেলেই দেখা মিলে এ কূয়াটির। বর্তমান যুগের মতই ইট সিমেন্টে বাধানো হয়েছিল এ কুয়াটি। উপরে এবং বাহিরের অংশ ক্ষয় হয়েছে অনেকাংশে। কুয়াটির গভীরতাও ছিল অনেক। বর্তমানে ময়লা, আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে এ কুপটি।
স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তার হোসাইন জানান, গিরি ঘোষের এই ইন্দারা অনেক যুগ ধরে চিহ্নমাত্র হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটাকে প্রত্মতাত্বিক নিদর্শন হিসেবে চিহ্নিত করা যায় কিনা সে ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত ।
স্থানীয় শিক্ষকদের দাবি, এ কুয়াটি (ইন্দারা) কে প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষা করে পরবর্তী প্রজন্মকে জানার ব্যবস্থা করতে হবে।
Leave a Reply