অভিভাবকহীন পাবিপ্রবি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারের পর ৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন নতুন প্রক্টর ড. মাসুদ রানা ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইমরান হেসেন। সোমবার ভোরে ক্যাম্পাসের বাসভবন থেকে ভাইস চ্যান্সেলর ড. হাফিজা খাতুন চলে গেছেন ঢাকায়, সম্ভাবনা রয়েছে তারও পদত্যাগের।
গত কয়েকদিন আগে রিজেন্ট বোর্ড সভায় ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় পাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। একই সাথে শীর্ষ কয়েকটি পদে রদবদলও করা হয়।
পাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গত সোমবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ধারা ১১ (১২) আনুযায়ি সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং পেশাজীবী সংগঠন বন্ধ করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে রাজনিতিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে সভায় ২৪ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে গত সোমবার (১২ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি এসএম মোস্তফা কামাল ও কোষাধ্যক্ষ কেএম সালাউদ্দিন পদত্যাগ করেন। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগের কপি প্রেরণ করেন। পরদিন মঙ্গলবার প্রশাসনিক শীর্ষ কর্মকর্তা পদে ব্যাপক রদবদল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম আরো জানান, প্রক্টও ড. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা নাজমুল হোসেন, পরিবহন প্রশাসক রাহিদুল ইসলাম ও ডরমিটরি প্রশাসক আকরাম হোসেনকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইমরান হোসেন, পরিবহন প্রশাসক পদে মো. কামরুজ্জামান এবং ডরমিটরি প্রশাসক পদে আরিফ ওবাইদুল্লাহ দায়িত্ব পান। নানান নাটকীয়তা শেষে বিবিএ বিভাগের শিক্ষক ড. মাসুদ রানাকে প্রক্টরের দায়িত্বও দেয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহনের ৫ দিনের মাথায় তারা সোমবার বেলা ১২ টার দিকে প্রক্টও মাসুদ রানা, ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইমরান হোসেন পদত্যাগ করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাইস চ্যান্সেলর ড. হাফিজা খাতুনের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে বিশ^বিদ্যালয়ের সদ্য পদত্যাগ করা প্রো-ভিসি এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে পিয়ন থেকে কর্মকর্তা বনে যাওয়া কয়েকজন ব্যাক্তিকে কপিতয় শিক্ষকরা লেলিয়ে দিয়ে বিশ^বিদ্যালয় অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। পিয়ন থেকে পদোন্নতি পেয়ে কর্মকর্তা হওয়া কয়েকজন ব্যাক্তি কোন প্রোটোকল বুঝে না, কার সাথে কেমন ভাবে কথা বলতে হবে কিছু না বুঝেই যাকে তাকে হেয় করার কারনেই পাবিপ্রবির বর্তামানের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদেরকে এখনই নিয়ন্ত্রন না করা হলে ভবিষ্যত খুবই খারাপের দিকে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।