পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মামুন আব্দুল্লার ব্যাক্তিগত চেম্বারে ভূল ইনজেকশনের কারণে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কর্তব্যরত চিকিৎসককে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে সাঁথিয়া পৌর শহরের ইতালি সুপার মার্কেটে ব্যাক্তিগত চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রোগী উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান মকুল (৫৫)।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে পেটে পচন্ড ব্যথা উঠলে পরিবার তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার মামুন আব্দুল্লাহর চেম্বারে নিয়ে যেতে বলেন। চেম্বারে নিলে তখন তাড়াহুড়া করে তাকে ডাঃ মামুন একটি ইনজেকশন দেন, তাৎক্ষণিক সে মৃত্যুবরণ করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সে উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হলেও তিনি সময়মত হাসপাতালে না গিয়ে চেম্বারে রোগীকে আসতে বলেন। অতিরিক্ত ফি নিয়ে রোগী দেখেন চেম্বারে। ঠিকমত হাসপাতালে চিকিৎসক না দিয়ে নিজের চেম্বারে চিকিৎসক পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে উপজেলার সাধারণ জনগণ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছে অভিযোগ দিলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে তার বাড়ী হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে চলার অভিযোগ স্থানীয়দের। তার সাথে স্থানীয় প্রভাবশালীদের গোপন আতাত রয়েছে বলে জানান তারা।
অভিযুক্ত সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মামুন আব্দুল্লাাহ বলেন, সে আমার চেম্বারে আল্ট্্রসনোগ্রাম করাতে আসছিল। এখানে স্টোক করলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মৃত্যুর পরে তাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সামনে মারা যাচ্ছিল তাই ইনজেকশন দিয়েছি। আমরা যদি ইচ্ছা করি তাহলে মুমুর্ষ রোগীকে ইনজেকশন দিতে পারি।
সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোন লিখিত ভাবে অভিযোগ পাইনি। ঘটনা জানার পরে সেখানে পুলিশের ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ না দেওয়ায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, সে হার্ট এট্যাকে মারা গেছে, এ ধরণের একটা সংবাদ শুনছি। তবে ইনজেকশন দেওয়ার পরে মারা গেছেন এমন বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
Leave a Reply