পাবনার সাঁথিয়ায় রুবিয়া ফয়েজ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও দীর্ঘ ১৩ দিনেও তদন্ত শুরু হয়নি। প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনায় পাবনা সিভিল সার্জন অফিস ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা আসমা খাতুনকে প্রধান ঘটনার পরই একটি তদন্ত কমিটি করেন। ক্লিনিক পক্ষের আপোষ মিমাংশার আশ্বাসে তদন্ত কমিটি তদন্ত করা থেকে বিরত রয়েছে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রদান।
এদিকে দীর্ঘ সময় পার হলেও তদন্ত শুরু না হওয়ায় জনমনে নানা গুঞ্জণ শুরু হয়েছে। মানুষের মুখে মুখে চাউর হচ্ছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনাটি গোপনে মিমাংশা করা হয়েছে। গত ১৩ মে উপলোর স্বরুপ গ্রামের খাইরুল ইসলামের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন প্রসাব বেদনা নিয়ে রুবিয়া ফয়েজ ক্লিনিয়ে আসেন। সেখানে কোন অ্যনেথেসিয়ান না থাকলেও ক্লিনিকের মালিক ডাঃ আব্দুর রহিম নিজেই প্রসুতিকে অ্যনেথেসিয়ান প্রয়োক করেন এবং সিজার করেন। অপরেশনের টেবিলে অধিক রক্ত ক্ষরণে প্রসুতি শ্যামলী খাতুন মারা যায়। তবে বৃহস্পতিবার (১২ মে) রােেত শ্যামলী সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্্ের ভর্তি হয়। সেখান থেকে দালালরা ফুঁসলিয়ে রুবিয়া ফয়েজ ক্লিনিকে ভর্তি করে। এলাকাবাসী জানান, প্রতি নিয়তই ক্লিনিকতে প্রসুতি ও শিশু মৃত্যু ঘটনা ঘটছে। বার বারই তদন্ত হয় কিন্তু কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা হয় না।
সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী জানান, ক্লিনিকে প্রসুতি মৃত্যুও ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটির প্রধানের পারিবারিক সমস্যার কারণে তদন্ত শুরু হয়নি। আশা করছি অল্প সময়ে তারা তদন্ত শুরু করবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা আসমা খাতুন জানান, আপোষের আশ্বাসে আমি তদন্ত থেকে বিরত রয়েছি। ভুক্তভোগীর সাথে ক্লিনিক মালিকের আপোষের সাথে তদন্তের সম্পর্ক কি? জানতে চাইলে তদন্ত করা হবে মর্মে তদন্ত কমিটির প্রদান এ প্রতিবেদককে জানান।
Leave a Reply